এ্যাডভোকেট এলিনা খান : আমাদের সংবিধানে বাকস্বাধীনতার কথা বলা আছে। কিন্তু নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পুরোপুরি না হলেও অর্ধেকের বেশি সংবিধানের পরিপন্থী। আমাদের বাকস্বাধীনতকে খর্ব করা হয়েছে এই নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে। আপনি কৌশল করে যে কোন আইন প্রবর্তন করতে পারেন, সেটা কৌশল করে রাখতে পারেন, আবার সেটা কৌশল করে ব্যবহৃত হতে পারে। সুতরাং এই আইনটি অবশ্যই পরিবর্তন হওয়া উচিত। স্বাধীনতার প্রথম ধাপ হচ্ছে আমাদের বাক স্বাধীনতা । এটি আমাদের জীবনের অধিকার। এই থিমগুলোতে আমাদের স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। অবিলম্বে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হওয়া উচিত। ৫৭ ধারায় বাক স্বাধীনতাকে খর্ব করা হয়েছিলো।
তার পরিবর্তে এখন, ৩২ ধারায় সেই একই কৌশলে বিধি-বিধান করা হয়েছে। ধারাটিতে ১৯২৩ সালের ‘অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট’ সংযুক্ত করে সাংবাদিকতায় গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগ আনা হয়েছে। এটি কাম্য ছিল না। এছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তির আইনের ৫৭ ধারার আপত্তিজনক বিষয়গুলো নানা কৌশলে এখানে নিয়ে আসা হয়েছে। সাংবাদিক সমাজের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও এই ধরনের একটি আইন পাশ হওয়ায় আন্তজার্তিক মানদন্ডে বাংলাদেশের সাংবাদিকতার সূচক আরও নিচে নেমে যাবে। যেভাবে আইনটিতে জেল-জরিমানার কথা বলা হয়েছে, কোনো সাংবাদিক অনিচ্ছাকৃতভাবেও যদি কোনো ভুল করেন, তার পক্ষ এই পরিমাণ অর্থদন্ড দিয়ে ছাড়া পাওয়া সম্ভব হবে না। সুতরাং নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিলের জন্য সরকার কে আহ্বান জানাচ্ছি।
পরিচিতি: আইনজীবি, বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্ট/ মতামত গ্রহণ: মো.এনামুল হক এনা/ সম্পাদনা: ফাহিম আহমাদ বিজয়
আপনার মতামত লিখুন :