সুজিৎ নন্দী : রাজধানীতে ব্যাপক হারে ডেঙ্গুর রোগীর সংখ্যা বাড়ছে।সেই সঙ্গে বাড়ছে মশার উপদ্রব। বর্তমানে তা সহনশীল মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। গত সাড়ে ৮ মাসে ডেঙ্গু রোগে মারা গেছে ১৪ জন। প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হচ্ছে ৫২জন। এ বছর ডেঙ্গুরোগে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার। গত ৫ বছরে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৬ হাজারের বেশি। এবারই সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাবলিক হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার এন্ড কন্টোল রুম সূত্রে এতথ্য জানা যায়। একাধিক চিকিৎসক জানান, নভেম্বরের আগে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমবে না।
মশার উপদ্রব থেকে রাজধানীর বাসিন্দাদের রক্ষায় চলতি বছরে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বাজেট ২২ কোটি টাকা এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়ার মতো মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধ সিটি করপোরেশনের ক্র্যাশ প্রোগ্রাম, বিশেষ অভিযান, প্রশিক্ষণ নিয়ে অভিযান ও রুটিন ওয়ার্ক তেমন কাজে আসছে না। রোববার মশা নিধনে আবারো ঢাকা উত্তরের ‘রোড শো’ এবং ‘বিশেষ ক্র্যাশ প্রগ্রাম’ চালু হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, এখানে সিটি করপোরেশনের পাশাপাশি নগরবাসীকেও সচেতন হতে হবে।নিজের বাড়ি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে।৫ দিনের বেশি পানি বাড়ির মধ্যে জমতে দেয়া যাবে না।
রাজধানীর মশা নিধনের দায়িত্ব ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। বর্তমানে নগরীর প্রকোপ প্রসঙ্গে ডা: এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, ঢাকার জলাবদ্ধতা ডেঙ্গু ছড়ানোর অন্যতম কারণ। পাশাপাশি অভিজাত এলাকায় ডেঙ্গু মশার প্রভাব সবচেয়ে বেশি। নির্মাণাধীন ভবন ছাড়াও বাসাবাড়ির ফুলের টব, বালতি ও পুরোনো টায়ারে জমে থাকা পানি ডেঙ্গুর ভাইরাসবাহী মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত জায়গা। তিনি আরো বলেন, ঢাকার বাইরে চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনাতে প্রায় ৮জন রোগী পাওয়া গেছে।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমরা যে ভাবে কাজ করছি তাতে ডেঙ্গু এখন সহনীয় মাত্রার মধ্যে আছে। নগরবাসীর আতংঙ্কিত হবার কিছু নেই।
ডিএসসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শেখ সালাউদ্দিন বলেন, প্রায় ৬০টি দলের মাধ্যমে মশার উৎপত্তিস্থলে ওষুধ দেয়া হচ্ছে। মশা নিধনের ক্ষেত্রে নগরবাসীর সহযোগীতাও প্রয়োজন। আগামীতে ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মতো আরো কর্মসূচি আছে।
জানা যায়, এ বছর মার্চ মাসের শুরুতে দুই সিটি করপোরেশনের ১৯টি এলাকার ৬৩টি স্থানে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়ার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
আপনার মতামত লিখুন :