মতিনুজ্জামান মিটু : জাপানে বাংলাদেশী টমেটো পেস্ট রফতানির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।ইতোমধ্যেই দেশটির একটি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে ২২০ কোটি টাকার ৩০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো পেস্ট আমদানির আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এবিষয়ে বাংলাদেশ অর্গানিক প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যসোসিয়েশনের সভাপতি মু. আব্দুস ছালাম বলেন, জাপান বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বছরে ৮৮০ কোটি টাকার ১ লাখ ২০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো পেস্ট আমদানী করে থাকে।সেখানকার চাহিদার পুরোটাই বাংলাদেশ থেকে রপ্তানী কর সম্ভব।
আমাদের দেশে প্রচুর টমেটো উৎপাদন হয়। কিন্তু অনেক সময় কৃষকরা পরিবহন খরচের ভয়ে ক্ষেত থেকে টমেটো উঠান না বা সংগ্রহ করেন না। ফলে প্রচুর টমেটো পঁচে নষ্ট হয়।পরিকল্পিত পরিকল্পনা, দেশে টমেটো পেস্ট কারখানা না থাকা এবং টমেটোর উপকারিতা সম্পর্কে জনগণের অসচেনতাই এজন্য দায়ী।
তবে আশার কথা হচ্ছে; জাপানের একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন টমেটো পেস্ট আমদানিতে আগ্রহী হয়েছে। যার রফতানি মূল্য ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা ২২০ কোটি টাকা।এজন্য আমরা কন্ট্রাক্ট ফার্মিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন জেলায় টমেটো উৎপাদনের প্রয়োজনী উদ্যোগ নিয়েছি।সেই সঙ্গে আমরা প্রতিষ্ঠা করতে চলেছি দেশের প্রথম টমেটো পেস্ট তৈরীর কারখানা। আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক পেস্ট কারখানা স্থাপনের জন্য প্রয়োজনীয় ঋণ দেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
দেশে উৎপাদিত টমেটোকে কাজে লাগাতে জরুরী ভিত্তিতে মাঝারি আকারের ১০টি কারখানা স্থাপন করা দরকার। এধরনের প্রতিটি কারখানা স্থাপনে দরকার হবে ১১ কোটি টাকা। টমেটো পেস্ট ছাড়াও এই কারখানায় ম্যাঙ্গোপাল্প ও আনারস প্রক্রিয়াজাতকরণ করা যাবে।
মূল্যসংযোজনের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে টমেটো, আনারস ও আমজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে জন্য আমরা প্রয়োজনীয় উদ্যোক্তা, কারখানা ও সচেতন কৃষক সৃষ্টির কার্যক্রম অনেক দ্রুত এগিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছি।
আপনার মতামত লিখুন :