এম এ রাশেদ: সাম্প্রতিক সময়ে দেখা গেছে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের কোনো ম্যাচ মাঠে গড়ালেই আর ওই ম্যাচে যখনই বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা থাকে তখনই আম্পায়ারের কিছু বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ ম্যাচ জয় থেকে বঞ্চিত হয়। এর জ্বলন্ত প্রমাণ ২০১৫ সালের অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে বাংলাদেশ-ভারত কোর্য়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি।
ওই ম্যাচে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দুটি বিতর্কিত সিদ্বান্ত দিয়েছিল থার্ড আম্পায়ার। যেটাকে কেন্দ্র করে জল কম ঘোলা হয়নি।
শুক্রবার এশিয়া কাপের ১৪তম আসরের ফাইনালে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে বাংলাদেশ- ভারত ম্যাচে বাজে আম্পায়ারিংয়ের কারণে এরকম আরও একটি বিতর্কিত ঘটনার জন্ম দিয়েছে। যেটি নিয়ে আবারও সরগরম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লিটন ও মিরাজ দারুণ এক জুটি গড়েন। এ দু’জন মিলে প্রথম ১৮ ওভারে বিনা উইকেটেই করেন ১০২ রান। যেখানে লিটনের ব্যাট থেকে আসে ৫৬ বলে ৭২ ও মেহেদীর ব্যাট থেকে আসে ৫২ বলে ২৭ রান। লিটন ক্যারিয়ারের প্রথম অর্ধশতক করেন ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। যেখানে তিনি বল খেলেন মাত্র ৩৩টি।
২০.৫ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ১২০ তখন মিরাজ আউট হলে এ জুটি ভাঙে। যদিও ততক্ষণে ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডেতে ওপেনিংয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি হয়ে গেছে।
ম্যাচের ৪০.৬ ওভারে বাংলাদেশের রান যখন ৬ উইকেটে ১৮৮ ঠিক তখনই থার্ড আম্পায়ার রড টাকারের এক বিতর্কিত সিদ্ধান্তে আউট হন বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ সংগ্রাহক লিটন দাস।
যদিও টিভি রিপ্লেতে বারবার দেখানো হয়েছে, লিটনের পা দাগ ছুঁয়েছিল।
লিটনের আউটের পর বাংলাদেশের রানের চাকা আর বাড়েনি। এরপরেও ২২২ রানের পুঁজি নিয়েও ওয়ানডে র্যাংকিংয়ের এক নম্বর দল ভারতকে ম্যাচের শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে।
লিটন যদি এভাবে বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার না হতেন বাংলাদেশের রানের চাকা আরও বাড়তে পারতো। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ হয়তো ম্যাচটি জিতে প্রথমবারের মত এশিয়া কাপের অধরা শিরোপা জয় করতে পারতো।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রথম ওয়ানডে অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু আমাদেরসময়ডটকমকে বলেছেন, দেখুন, সাধারণত ক্রিকেট ম্যাচে রান আউট ও স্ট্যাম্পিং এর ক্ষেত্রে যখন মাঠের লেগ আম্পায়ার সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন সেক্ষেত্রে থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন।
এ প্রতিবেদককে লিপু বলেন, টিভি রিপ্লেতে বারবার দেখানো হয়েছে, লিটনের পা দাগ ছুঁয়েছিল। যদিও একবার কেন যেন দেখা গেছে লিটনের পা দাগের বাইরে ছিল।
তিনি বলেন, যেহেতু বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বারবার বাজে আম্পায়ারিং হচ্ছে। এটি নিয়ে আমি ভীষণ হতাশ।
ম্যাচে এ ধরনের যারা বাজে আম্পায়ারিং করেন তাদেরকে শাস্তির ব্যবস্থা করলে ভবিষ্যতে অন্য আম্পায়াররা এ ধরনের অপরাধ করা থেকে তারা সাবধান থাকবেন।
লিপু বলেন, লিটনের আউটের সিদ্বান্তটা ছিল খুবই হতাশাজনক।
লিপু আরও বলেন, এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্বাহী সভায় বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে জোর আলোচনা করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :