রাশিদ রিয়াজ: নিউইয়র্ক, প্যারিস, লন্ডন, মিলানে ফ্যাশন সপ্তাহে এখন ইসলামী পোশাকে আবৃত হয়ে ক্যাটওয়াকে অংশ নিচ্ছেন আরব ও পশ্চিমা মডেল। কারণ সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে বাড়ছে ইসলামী পোশাকের কদর ও চাহিদা। যা আগামী বছর আর্থিক মূল্যে দাঁড়াবে ৪৮ হাজার ৪’শ কোটি মার্কিন ডলার। পশ্চিমা ফ্যাশন হাউজের ডিজাইনার, মডেল কিংবা ব্লগার নিত্য নতুন ইসলামী পোশাক বের করতে শশব্যস্ত সময় পার করছেন আর এসব পোশাকের বড় অংশেরই ক্রেতা মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় ধনী দেশগুলো। মিডিল ইস্ট আই ডটনেট
ফ্যাশনে এধরনের ইসলামী পোশাক প্রদর্শনীর পর হাজার হাজার কোটি টাকার অর্ডার লুফে নিচ্ছে ফ্যাশন হাউজগুলো। অর্ডার দিয়ে রাখছে শিপমেন্টের। হিজাব ছাড়াও পোশাকে ধর্মীয় নির্দেশ ও আধুনিক ডিজাইনের সমন্বয় আনা হচ্ছে। পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে যেমন থাকছে বিনয়ী শৈলী স্তর তেমনি আলগা ও একটু ঢিলেঢালা অথচ শরীরের অবয়ব ফুটে না ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে। কিন্তু তাতে স্টাইলের এতটুকু ঘাটতি থাকছে না। যদিও এধরনের ইসলামী পোশাক মূলধারার ফ্যাশন শিল্পে প্রধান ধারা অনুসরণ করে না তবুও এধরনের পোশাকের ক্রেতার উুঁচু ক্রয়ক্ষমতা ও চাহিদার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। থমসন রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে বিশ্বে পোশাক বিক্রির ১৪.৪ ভাগ দখল করেছে এধরনের পোশাক।
২০১১ সালে ইসলামী পোশাক তৈরির দিকে ঝুঁকে পড়ে পশ্চিমা ফ্যাশন হাউজগুলো। একই সঙ্গে অনেক ব্লগার ইসলামী পোশাক তৈরি করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রদর্শন করার পর এসব পোশাক কেনার আগ্রহ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। ব্রিটেনের দিনা তর্কিয়া, আমেনা খান, কুয়েতের আছিয়া এধরনের ব্লগার যাদের হাজার হাজার অনুসারী রয়েছে যারা নিত্যনতুন ইসলামী পোশাক লুফে নিচ্ছে। মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ায় এধরনের ব্লগারদের মাধ্যমে ইসলামী পোশাক ছড়িয়ে পড়ছে সারাবিশ্বে।
আপনার মতামত লিখুন :