শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৭ দুপুর
আপডেট : ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাতটি রাইফেল নিয়ে কাশ্মির থেকে পালিয়েছেন ভারতের এক পুলিশ কর্মকর্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের জম্মু ও কাশ্মির থেকে সাতটি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেছেন দেশটির বিশেষ পুলিশ বাহিনীর (এসপিও) এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা পিপলস ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (পিডিপি) সংসদ সদস্য আইয়াজ আহমেদ মীরের কাশ্মিরের রাজধানী শ্রীনগরের বাড়ি থেকে এসব অস্ত্র নিয়ে পালিয়েছেন। ভারতের এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন ওই এসপিও কর্মকর্তা ওই সংসদ সদস্যের জন্যে মোতায়েন ছিলেন। দেশটির সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস বলছে, বিগত কয়েক বছরে পুলিশ এবং এসপিও বাহিনী ত্যাগ করে অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র গোষ্ঠীতে যোগ দেওয়ার বেশ কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে।

পিডিপির সংসদ সদস্য আইয়াজ আহমেদ মীর কাশ্মিরের সোপিয়ান জেলার ওয়াচি আসনের প্রতিনিধিত্ব করেন। পালিয়ে যাওয়া এসপিও কর্মকর্তার বাড়িও সোপিয়ান জেলায়। দেশটির ঊর্ধ্বতন এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ওই এসপিও কর্মকর্তা জাওয়াদ নগরে মীরের রাষ্ট্রীয় বাসভবন থেকে এসব রাইফেল নিয়ে পালিয়ে গেছেন। এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।

২০১৫ সালের মার্চ মাসেও কাশ্মিরে একই ধরণের একটি ঘটনা ঘটেছিল। সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্য আলতাফ বুখারির বাসভবনে মোতায়েন থাকা পুলিশ সদস্য নাসের আহমেদ পন্ডিত দুটি রাইফেল নিয়ে পালিয়ে যান। সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদিনে যোগ দেওয়ার পর দক্ষিণ কাশ্মিরে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনি নিহত হন।

কাশ্মির নিয়ে দুই প্রতিবেশি ভারত ও পাকিস্তানের বিরোধ দীর্ঘদিনের। সেখানকার সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর কেউ কেউ সরাসরি স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনরত। কেউ কেউ আবার কাশ্মিরকে পাকিস্তানের অঙ্গীভূত করার পক্ষে। ইতিহাস পরিক্রমায় ক্রমেই সেখানকার স্বাধীনতা আন্দোলনের ইসলামীকিকরণ হয়েছে। এখন সেখানকার বিদ্রোহী সংগঠনগুলোর মধ্যে হিজবুল মুজাহিদীন সবথেকে সক্রিয়। তবে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ কাশ্মিরের জাতিমুক্তি আন্দোলনকে বিভিন্ন জঙ্গিবাদী তৎপরতার থেকে আলাদা করে শনাক্ত করে না। সন্দেহভাজন জঙ্গি নাম দিয়ে বহু বিদ্রোহীর পাশাপাশি বেসামরিকদের হত্যার অভিযোগ রয়েছে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে। কাশ্মির প্রশ্নে সমগ্র ভারতীয় স্টাবলিশমেন্টের দৃষ্টিভঙ্গিতেই সেখানকার সমস্যাকে ‘বিচ্ছিন্নতা আর জঙ্গিবাদের’ সমস্যা আকারে দেখা হয়ে থাকে। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়