আহমেদ ইসমাম : আগামী সংসদ নির্বাচনে সংখ্যালঘু নির্যাতনকারী ব্যক্তিদের মনোনয়ন না দেওয়া জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহবানসহ ৫ দফা দাবি জানিয়েছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।
শুক্রবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘুদের জাতীয় সমন্বয় কমিটির উদ্যেগে অনুিষ্ঠত সমাবেশে এ দবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সরকারি দলের কোনো কোনো নেতা বলে, আমরা ক্ষমতায় না থাকলে এক দিনে এক লক্ষ্য মানুষ হত্যা হবে। জন্মাষ্ঠমির সভায় এই ইঙ্গিত পূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার মানে কি।এটা কি কোনো দায়িত্বশীল লোকের মন্তব্য হতে পারে? এই ঘটনা যদি ঘটে তা হলে এটা প্রতিহত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব।
সমাবেশে বক্তারা আরো বলেন, আজ স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর কেন এই সমাবেশ করতে হচ্ছে। কেন সমাবেশ থেকে বিভিন্ন নির্যাতনের বিচার চাওয়া হচ্ছে। এটা অনেক লজ্জার বিষয় আমাদের জন্য। সেই একুশের পরে আমরা যে দেশের স্বপ্ন দেখেছি যেখানে মানুষে মানুষে বৈষম্য থাকবে না। মানব সত্তার মহিমা প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই দেশ বানিয়েছি। আমরা শুধু একটি ভূখণ্ড দখল করার জন্য এই দেশ স্বাধীন করি নাই। আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম যাতে এই দেশে প্রতিটি মানুষ নির্ভয়ে মাথা উঁচু করে ন্যায় বিচারের প্রত্যাশায় বাঁচতে পারে।
এ সময় পাঁচ দফা দাবি পেশ করেন রানা দাশ গুপ্ত। দাবিগুলোর উল্লেখ যোগ্য অংশ হচ্ছে, যে রাজনৈতিক দল বা জোট তাদের নির্বাচনী ইষতেহারে প্রাণের দাবি ঐতিহাসিক ৭-দফার পক্ষে নির্বাচনি পক্ষে নির্বাচনী অঙ্গীকার ঘোষণা করবে এবং সংখ্যালঘুর স্বার্থ নিশ্চিত করবে তাদের জন্যই আমাদের সমর্থন থাকবে। নির্বাচনের আগেই সরকারকে সংখ্যালঘু মন্ত্রনালয় ও কমিশন গঠন করকে হবে এবং সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করতে হবে।
সমাবেশে সভাপত্বি করেন নির্মল সেজারি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মানবাধিকার কর্মী সুলতানা কামাল, অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, রানা দাশ গুপ্ত ও পুষাতন তালুকদার। এ ছাড়াও সমাবেশে ২২টি সংগঠন যোগ দিয়ে তারা সারা দেশ থেকে তাদের নেতা কর্মীদের নিয়ে সমাবেশে যোগ দেন।
আপনার মতামত লিখুন :