নূর আলম সিদ্দিকী, নীলফামারী: নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের দু গুরুপের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গতকাল সংঘর্ষে অফিস ভাংচুর করে উভয় পক্ষে আহত হয়েছেন দশজন। অপর গ্রুপের সংবাদ সম্মেলনে শাস্তির দাবি। আজ শুক্রবার সকাল থেকে দু গ্রুপে দফায় দফায় শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। অপরদিকে উভয় স্ব স্ব অফিসে অবস্থান নিয়েছে দুটি দলে। সংঘর্ষ এড়াতে ডিমলায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেন স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন।
নীলফামারী-১ আসনের (ডোমার-ডিমলা) নির্বাচনী এলাকা অশান্ত হয়ে উঠেছে । নিজেদের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অফিস ভাংচুর, ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের মারপিট, বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ছিন্ন বিছিন্ন করায় আজ শুক্রবার দুপুরে নীলফামারীর শহরের একটি হোটেলের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন, ওই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক সরকার ফারহানা আখতার সুমী।
তিনি অভিযোগ করে বলেছেন, ওই আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকারের নির্দেশে তার ভাই ও ভাতিজারা বৃহস্পতিবার রাতে অফিসে হামলা চালায়। তাদের হামলায় গুরুতর আহত হয় ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মী। তারা অফিস ভাংচুর করেই থেমে থাকেনি। বঙ্গবন্ধুর ও জননেত্রীর ছবি ছিড়ে ফেলে তছনছ করেছে। তারা বিনা উস্কানীতে কোন কারন ছাড়াই এসব অপকর্ম করেছে।
সরকার ফারহানা আখতার সুমী গ্রুপের বাবু উত্তম কুমার রায় বলেন, পরিবার তন্ত্র করে ডিমলার মানুষকে জিম্মি করেছে।মানুষ হতাশ হয়েছে। এখানে আওয়ামী লীগ করতে হলে আগে আফতাব লীগ করতে হবে নইলে তাদের করুন পরিস্থিতি হবে। আমাদের অফিসে দুটি মটর সাইকেল ভাংচুরসহ অফিস ভাংচুর করে। ডিমলা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর, জানায় চার পাঁচশত লোক অফিসে ভাংচুর চালায়,আমরা হাসপাতালে গেলে সেখানেও আক্রমন করে।অপরদিকে ডিমলা যুবলীগের আহবায়ক ফেরদৌস পারভেজ বলেন,সরকার ফারহানা আক্তার সুমি এলাকায় নৌকার বিপরীত গ্রুপ তৈরী করে,জাতীয় পার্টির জাফর ইকবালসহ অন্যান্য প্রার্থীদের সুবিধা করে দিতে এলাকায় আওয়ামী লীগের ভোট কমিয়ে দিতে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে।
ডিমলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবু সোয়েম সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম সরকার বলেন, সরকার ফারহানা আক্তার সুমি বর্তমান স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে এলাকায় বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে চাকরী দেয়ার নাম করে টাকা নেয়াসহ বিভিন্ন অপকর্ম করে বেড়াচ্ছে এবং ডিমলায় ছাত্রলীগকে নস্ট করার পায়তারা করছে ।
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ মফিজ উদ্দিন শেখ এর সাথে কথা হলে তিনি জানায় আইনশৃংখলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার আইনশৃংখলার স্বার্থে তিন রাউন্ড সট গানের গুলি ব্যবহার করা হয়। সুমির অফিস থেকে চাপাতি উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় জনসাধারনের সঙ্গে কথা বললে, তারা জানায় যে, তারা ভয়ভীতির মধ্যে আছে এবং প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতাদের কাছে তাদের চাওয়া নির্বাচনী এলাকায় পরিবেশ শান্ত রেখে সুষ্ঠ নির্বাচন ব্যবস্থা করার দাবী করেন।
আপনার মতামত লিখুন :