রাশিদ রিয়াজ: মার্কিন বিমান বাহিনীর সঙ্গে দেশটির বিমান নির্মাণ কোম্পানি বোয়িং এক চুক্তি অনুসারে ৯’শ কোটি ডলারে ৩৫১টি প্রশিক্ষণ বিমান সরবরাহ করবে। এসব প্রশিক্ষণ বিমান সরবরাহ পাওয়ার পর মার্কিন বিমান বাহিনী আগামী ২০৩৪ সালে বৈমানিকদের প্রশিক্ষণ শুরু করবে। তবে বোয়িংএর তরফ থেকে এব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
বোয়িংএর পক্ষে এধরনের বড় আকারের প্রতিরক্ষা চুক্তি করার পেছনে কোম্পানির প্রতিরক্ষা, মহাকাশ ও নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান নির্বাহী লেয়ান্নি ক্যারেট বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন। লকহিড’কে হারিয়ে বোয়িং এ ক্রয়চুক্তি করে। লকহিড টি-ফিফটি প্রশিক্ষণ বিমানের আরো আধুনিক করে সরবরাহ করতে চেয়েছিল। দক্ষিণ কোরিয়ার সহযোগিতায় এধরনের প্রশিক্ষণ বিমান লকহিড সরবরাহ করতে চাইলেও মার্কিন বিমান বাহিনী তা গ্রহণ করেনি। ইতালির লিওনার্দো ডিআরএস এক্ষেত্রে বোয়িংএর কাছে হেরে গেছে। অর্থাৎ ইতালির প্রস্তাব গ্রহণ করেনি মার্কিন বিমান বাহিনী। মার্কিন বিমান বাহিনী বরং ৫০ বছরের পুরোনো টি-৩৮ ধরনের বিমানকে আরো আধুনিক করে দিতে বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে। ফলাফল ভাল হলে এধরনের মোট ৬’শ বিমান কিনবে মার্কিন বিমান বাহিনী। কিন্তু মার্কিন বিমান বাহিনীকে দেয়া বোয়িংএর কেসি-৪৬ বিমান সরবরাহের পর তা নিয়ে জটিলতা শুরু হওয়ার পরও কোম্পানিটি ফের বিমান সরবরাহের চুক্তি করতে পারল।
আপনার মতামত লিখুন :