নিজস্ব প্রতিবেদক: সাকিব- তামিম নেই। তাদের শূন্যতা ঘোচাতে অন্যদের বাড়তি দায়িত্ব নিতেই হবে। দুবাইয়ের ফাইনালে এসে সেই দায়িত্বটা নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন লিটন দাস। ঘরোয়া ক্রিকেটে হার্ডহিটার ব্যাটসম্যান হিসেবে খ্যাতি আছে তার। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজের সেই সুনামের কানাকড়িও পূরণ করতে পারছিলেন না লিটন। আজকের ফাইনালের আগে ১৭টি ওয়ানডে খেলেও পাননি হাফসেঞ্চুরির দেখা। লিটন সেই আক্ষেপ মেটালেন ‘আসল’ ম্যাচে এসে। দুবাইয়ের ফাইনালে এরই মধ্যে ওয়ানডেতে নিজের প্রথম হাফসেঞ্চুরি পূরণ করে ফেলেছেন তিনি।
এবং ক্যারিয়ারের প্রথম হাফসেঞ্চুরিটা তিনি তুলে নিয়েছেন রীতিমতো ঝড়ে গতিতে। চার-ছক্কার ফুল ঝুরিতে মাত্র ৩৩ বলেই ছুঁয়ে ফেলেন ফিফটি। হাফসেঞ্চুরি পেরোনোর পরও সমান তালেই খেলছেন লিটন। ফলে শিরোপা স্বপ্নের পথে বাংলাদেশের রানের চাকাটাও ঘুরছে তরতর করে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১৮ ওভারে লিটন ও মেহেদী হাসান মিরাজ উদ্বোধনী জুটিতেই গড়ে ফেলেছেন শত রানের (১০২) অবিচ্ছিন্ন জুটি।
লিটনের কীর্তন গাইতে গিয়ে বড় একটা চমকের কথাই বলা হয়নি। এবারের এশিয়া কাপে আগের ৫ ম্যাচেই চরম ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং জুটি। ৫ ম্যাচে ওপেনিং জুটিতে সর্বোচ্চ রান ছিল ১৬! ফাইনালে নামার আগেই তাই বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা আভাস দেন ওপেনিংয়ে চমক দেখানোর। ইঙ্গিত মতো সেই চমকটা বাংলাদেশ দেখিয়েছে মেহেদী হাসান মিরাজকে নামিয়ে।
সৌম্যকে সরিয়ে লিটেনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই প্রথম বারের মতো ওপেনিং করতে নেমেছেন মেহেদী মিরাজ। আর এই জুয়ায় টিমম্যানেজমেন্টকে জিতিয়েও দিয়েছেন মেহেদী। চরম ব্যর্থতার খোলস ছেড়ে বেরিয়ে রানের ফুলঝুরি ফোটাচ্ছেন লিটন-মেহেদীর উদ্বোধনী জুটি। ১৮ ওভারে ১০২ রান তুলে ফেলা সেই স্বাক্ষ্যই দিচ্ছে।
নতুন সঙ্গী মেহেদীকে পেয়ে লিটন দাস হয়ে গেছেন ঘরোয়া ক্রিকেটের লিটন। শট খেলছেন হাত খুলে। যার ফল, প্রথম হাফসেঞ্চুরিটাকে তিনি টেনে নিয়ে যাচ্ছেন প্রথম সেঞ্চুরির দিকে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় তিনি ব্যাট করছেন ৫৬ বলে ৭৩ রান নিয়ে।
অগ্নিমূর্তি ধারণ করা লিটনকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন মেহেদীও। তিনি ব্যাট করছেন ৫২ বলে ২৭ রান নিয়ে। উড়ন্ত এই সূচনার প্রথম বারের মতো শিরোপা স্বপ্ন দেখাই যায়!
এদিন লিটন ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন মাত্র ৮৭ বলে।
আপনার মতামত লিখুন :