স্বপন কুমার দেব, মৌলভীবাজার: মৌলভীবাজারের বড়লেখায় অটোরিকশা (সিএনজি) চালানোর আড়ালে কিছু চালক ছিনতাই কাজে জড়িয়ে পরেছে। প্রবাসীদের স্ত্রী-কন্যাদের টার্গেট করে এ চক্র ছিনতাই কাজ করছে।
গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে এক প্রবাসীর স্ত্রীর টাকা নিয়ে পালানোর সময় জনতা সিএনজি চালক ছিনতাইকারী আবুল হোসেন মো. জুনেদকে আটক ও হাতিয়ে নেয়া টাকার সিংহভাগ উদ্ধার করে অটোরিকশাসহ তাকে পুলিশের নিকট দিয়েছে। সে বিয়ানীবাজার উপজেলার পাতন গ্রামের মৃত কনাই মিয়ার ছেলে।
জানা গেছে, উপজেলার দাসেরবাজার এলাকার দুবাই প্রবাসী হারিছ আলীর স্ত্রী রাবু বেগম গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কৃষিব্যাংক বড়লেখা শাখা থেকে স্বামীর ব্যাংক হিসাব থেকে ২১ হাজার টাকা উত্তোলন করেন। ব্যাগে টাকা ভরে তিনি ব্যাংক থেকে নামতেই এক সিএনজি চালক তাকে ডাক দেয়। দাসেরবাজার যাওয়ার কথা বললে তের বছরের মেয়েসহ তাকে সিএনজিতে উঠিয়ে রওয়ানা দেয়।
পৌরশহরের উত্তর চৌমুহনায় পৌছার পর কিছু কেনাকাটার জন্য টাকার ব্যাগসহ মেয়েকে সিএনজিতে বসিয়ে রাবু বেগম নেমে পড়েন। এসময় সিএনজি চালক সুকৌশলে রাবু বেগমের মেয়ের দৃষ্ঠি অন্য দিকে ফিরিয়ে ব্যাগ খুলে টাকা পকেটে ভরে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা চালায়।
মেয়ের চিৎকারে উত্তর চৌমুহনীর জামে মসজিদের সম্মুখে জনতা ব্যরিকেট দিয়ে সিএনজিসহ তাকে আটক করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ জানান, মেয়ের আর্তচিৎকার শুনে পথচারীসহ ব্যবসায়ীরা রাস্তায় ব্যরিকেট দিয়ে তাকে আটক করেন। এসময় তার পকেট থেকে ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উদ্ধারকৃত টাকা ও অটোরিকশাসহ তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
রাবু বেগম জানান, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনের পূর্ব থেকেই সে আমাকে অনুসরণ করেছিল। কিন্তু তা বুঝতে পারিনি। আমার মেয়েকে সিএনজিতে রেখে যাওয়ার সুযোগে সে টাকা হাতিয়ে পালানোর চেষ্ঠা চালায়। লোকজন এগিয়ে এসে তাকে আটক করেন। ব্যাগ থেকে ২১ হাজার টাকা নিলেও ১৯ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। পুলিশ এ টাকা আমাকে ফেরত দিয়েছে।
থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়াছিনুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, উদ্ধারকৃত টাকা ভুক্তভোগী মহিলাকে ফেরত দেয়া হয়েছে। আটক সিএনজি চালককে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :