সুজন কৈরী: রাজধানীর রূপনগর থানা হাজতে কাওসার (১৯) নামের একজন ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কাওসার একটি ধর্ষণ মামলার আসমি ছিলেন। শুক্রবার সকালে এ ঘটনা ঘটে।
রূপনগর থানার ওসি শাহ মো. শাহ আলম বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে ধর্ষণের অভিযোগে এক তরুণীর দায়ের করা মামলায় কাওসারকে গ্রেফতার করে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার সকালে কাওসার নিজের পরনের শার্ট দিয়ে হাজতের লোহার দরজার সঙ্গে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বিষয়টি টের পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দি হাসপাতালে নিয়ে যায়। ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ সোহরাওয়াদী হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ওসি জানান, হাজত খানায় লোহার দরজার সঙ্গে কাওসার ফাঁস দিয়েছে। তবে দাঁড়ানো অবস্থায় ফাঁস দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। দাঁড়িয়ে দরজার গ্রিলের সঙ্গে নিজের শার্ট দিয়ে বেঁধে পা উঁচু করে ঝুলে পড়লে তার গলায় ফাঁস লেগে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে অপমৃত্যু মামলা করবে। ওসি আরো জানান, শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাওসারের পরিবারের কোনো সদস্য যোগাযোগ করেনি। পুলিশের পক্ষ থেকে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পুলিশ জানায়, বুধবার রূপনগরের দুয়ারীপাড়া এলাকায় খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য খাইয়ে অচেতনের পর এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন কাওসার। পরে বৃহস্পতিবার আশেপাশের লোকজন বিষয়টি বুঝতে পেরে তাকে আটকে রেখে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দেন। সেখান থেকে খবর পেয়ে থানা পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। ধর্ষণের শিকার ওই নারীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মৃত কাওসারের বাবার নাম মৃত মো. মজিবুর রহমান। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালের সাকুনারায়। তিনি রূপনগর এলাকায় একাই থাকতেন। শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
আপনার মতামত লিখুন :