স্পোর্টস ডেস্ক: আর কিছুক্ষণ পরই শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপের ফাইনাল। দুবাইয়ের এই ফাইনালের আগে বাতাস গরম করে তুলেছে একটা প্রশ্ন। প্রশ্নটা আসলে তুলে দিয়েছে একটা রহস্য জনক ঘটনা। ক্রিকেট বলতেই মাঠের আম্পায়ার থাকেন দুজন। কিন্তু দুবাইয়ের ফাইনালের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে একজন মাঠের আম্পায়ারের নাম। তিনি মারিয়াস ইরাসমাস। ৫৪ বছর বয়সী এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে অন্য আম্পায়ার থাকবেন কে, সেটা এখনো জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, কেন এখনো অন্য আম্পায়ারের নাম ঘোষণা করা হয়নি?
কেন এই রহস্য? এর পেছনে কারণটাই বা কী? প্রশ্নটা হয়তো উঠত না, যদি অন্যান্য ম্যাচ অফিসিয়ালদের নাম ঘোষণা করা না হতো। ফাইনালের আর সব ম্যাচ অফিসিয়ালদের নামই ঘোষণা করা হয়েছে। তৃতীয় তথা টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে থাকছেন অস্ট্রেলিয়ার রড টাকার। ম্যাচ রেফারির গুরু দায়িত্ব পালনের ভার দেওয়া হয়েছে অস্ট্রেলিয়ারই সাবেক কিংবদন্তি ডেভিড বুনের কাঁধে।
বাকি শুধু একজন মাঠের আম্পায়ারের নাম ঘোষণা। তবে কি ফাইনাল পরিচালনার জন্য ইরাসমাসের মতো যোগ্য কোনো আম্পায়ার খুঁজে পাচ্ছেন না কর্তৃপক্ষ? নাকি এর পেছনে কাজ করছে অন্য কোনো রহস্য? অন্য সব ক্রিকেট খেলুড়ে দেশে এই প্রশ্নটা কতটা ঝড় তুলেছে কে জানে! তবে বাংলাদেশের মানুষের কাছে ব্যাপারটা রহস্যময় মনে হওয়ারই কথা।
আম্পায়াররা বরাবরই বাংলাদেশের বিপক্ষে বিতর্কিত সব সিদ্ধান্ত দিয়ে থাকেন। আর সেই ম্যাচটা যদি হয় মহাপ্রতাপশালী ভারতের বিপক্ষে, আম্পায়াররা যেন বাংলাদেশকে হারানোর পণ করেই মাঠে নামেন। একটু ঘুরিয়ে এভাবেও বলা যায়, ‘প্রভু’ ভারতকে খুশি করতে আইসিসিই যেন আম্পায়ারদের কানে মন্ত্র পরিয়ে দেয়, যেভাবেই হোক ভারতকে জেতাতে হবে!
একবার, দুবার নয়, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে অনেকবারই আম্পায়ারদের নির্লজ্জ সিদ্ধান্তের বলি হয়েছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান-বোলাররা। আম্পায়াররা বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করেছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। ছক্কার পরিবর্তে মাহমুদউল্লাহকে দিয়েছিলেন আউট! মাহমুদউল্লাহর শটটি সীমানার উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যাচ্ছিল।
সীমানা দড়ির উপর দাঁড়িয়ে তা তালুবন্দী করেন শিখর ধাওয়ান। রিপ্লেতে পরিস্কার, ক্যাচ নেওয়ার সময় ধাওয়ানের পা দড়ি স্পর্শ করেছিল। ক্রিকেটের আইন অনুযায়ী, এটা ছক্কা! কিন্তু মাঠের দুই আম্পায়ার নির্লজ্জভাবে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা মাহমুদউল্লাহকে আউট দেন! বিতর্কিত ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। তারপরও আইসিসির বিবেক নড়েনি। ভারতকে খুশি করতে এরপরও আম্পায়াররা বাংলাদেশের বিপক্ষে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
এই এশিয়া কাপেই ভারতের বিপক্ষের ম্যাচটিতে সেই মাহমুদউল্লাকেই বিতর্কিতভাবে আউট দেন ক্যারিবিয় আম্পায়ার গ্রেগর ব্রাফেট। বল ব্যাটে লাগার পরও তিনি এলবিডব্লুও দেন মাহমুদউল্লাহকে। আজকের ফাইনালে সেই ভারতই বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ। আর এ কারণেই মনের কোণে প্রশ্নটা উঠছে, তবে কি অন্য আম্পায়ারের সঙ্গে এখনো সমঝোতা করতে পারেনি আম্পায়ার নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা কর্তারা ব্যক্তিরা?
ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ হলে এমনিতেই বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের ব্যাপারটি শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বাংলাদেশিদের জন্য। আর এবার তো ফাইনাল। সেখানে আবার এখনো এক আম্পায়ারের নামই ঘোষণা করা হয়নি। তবে কি আজও বিতর্কিত আম্পায়ারিংয়ের শিকার হতে হবে বাংলাদেশকে?
উত্তরটা মিলবে ম্যাচটি মাঠে গড়ালেই। পরিবর্তনডটকম
আপনার মতামত লিখুন :