স্পোর্টস ডেস্ক : চলতি বছরের শুরুতে ঘরের মাঠে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার সময় আঙ্গুলে চোট পেয়েছিলেন সাকিব। সেই থেকেই আঙ্গুলটা ভোগাচ্ছে তাকে। সেই আঙ্গুলে আগেই অস্ত্রোপচার করানোর প্রয়োজন ছিল। কিন্তু একের পর এক সিরিজ তাকে ছুরির নীচে যাওয়ার সময় দেয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত তাকেই যেতেই হয়েছে শল্যবিদের কাছে।
ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের পর থেকে ইনজেকশন নিয়েই খেলেছেন এতোদিন। নিদাহাস ট্রফির পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর সেরেছেন। ঐ সফরের পরই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচার করানোর। কিন্তু তখনই দরজায় হাজির এশিয়া কাপ। তাই অস্ত্রোপচার না করিয়ে আবারো মাঠে সাকিব। সংযুক্ত আরব আমিরাত যাওয়ার আগে বলেছিলেন, ‘না হয় ইনজেকশন নিয়ে আরো একটি সিরিজ খেললাম।’
কিন্তু বিধি বাম! এশিয়া কাপের সুপার ফোরে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ম্যাচের পর হঠাৎ করেই ফুলে যায় সাকিবের আঙ্গুল। শেষ পর্যন্ত আসর শেষ না করেই তাকে দেশে ফিরে আসতে হয়। দেশে ফেরার পর আঙ্গুলের ব্যাথা ও ফোলা ভাবটা আরো বাড়ে। তাই অ্যাপোলো হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে যান সাকিব। সবকিছু দেখে ডাক্তাররা সঙ্গে সঙ্গে একটা সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেন।
ডাক্তান জানান, ‘ইনফেকশনের কারণে সাকিবের হাতে ৬০ থেকে ৭০ মি.লি. পুঁজ হয়েছে। সেটা বের করতে হয়েছে। দেরি করলে বড় ধরনের বিপদ হতে পারত। হয়তো এই হাত দিয়ে খেলা দূরের কথা আর কোনো কাজই করতে পারতেন না। এ যাত্রায় তিনি বড় ধরনের বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন সাকিব। ৭২ ঘণ্টা তাকে ডাক্তারের তত্ত্বাবধানেই থাকতে হচ্ছে। এরপর আর একটা সার্জারি করতে তাকে দেশের বাইরে যেতে হবে।
সার্জারি শেষে সাকিব আল হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে লিখেন, ‘হাতের ব্যাথায় যখন দল ছেড়ে দেশে ফিরছি তখনও বুঝতে পারিনি এত খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখিন হতে হবে। দেশে আসার পর প্রচন্ড ব্যাথা অনুভব ও হাত অস্বাভাবিক রকম ফুলে যাওয়ায় দ্রুত হসপিটালে এডমিট হয়ে একটি সার্জারি করাতে হয়েছে। আঙ্গুলের ভেতর ইনফেকশনের ফলে ৬০-৭০ মি.লি পুঁজ বের করতে হয়েছে। আপনাদের দোয়ায় খুব অল্পের জন্য বড় ধরণের বিপদ থেকে এই যাত্রায় রক্ষা পেয়েছি। তবে দ্রুতই আরও একটি সার্জারি করাতে হবে। আপনাদের সকলের দোয়া প্রার্থনা করছি। আপনাদের দোয়া ও ভালবাসায় দ্রুত সুস্থ হয়ে যেন বাংলাদেশ দলের প্রতিনিধিত্ব করতে পারি। ধন্যবাদ..’
আজ সাকিব, তামিমকে ছাড়াই ভারতের বিরুদ্ধে এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলতে নামবে ভারত। এর আগে পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও খেলেননি দলের সিনিয়র এ দুজন ক্রিকেটার। তবুও দল জয় পেয়েছে। যা দেশের ক্রিকেটভক্তদের কাছে উপভোগ্য হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :