সান্দ্রা নন্দিনী : চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ওয়াং ই বলেছেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গা ইস্যুটি কোন জটিল, বৃহৎ কিংবা আন্তর্জাতিক বিষয় হিসেবে উপস্থাপন করা উচিৎ নয়। দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা ওয়াং ই বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাই একে এতবড় করে দেখা বা আন্তর্জাতিক ইস্যু হিসেবে বিবেচনা করাকে সমর্থন করে না চীন।
শুক্রবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওয়াংয়ের বরাত দিয়ে এক বিবৃতিতে জানায়, চীন আশা করে মিয়ানমার ও বাংলাদেশ আলোচনার মাধ্যমে একটি সমাধান খুঁজে নেবে। আর এটি সফল করতে সবরকম সহায়তা দিতে প্রস্তুত চীন। এছাড়া, জাতিসংঘসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও এতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে পারে।
রোহিঙ্গা নিপীড়নের দায়ে মিয়ানমারকে বিচারের আওতাভুক্ত করতে আনা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটির হওয়ার পর বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে গৃহীত হয়। ৪৭ সদস্যের কাউন্সিলে ৩৫-৩ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরমধ্যে ৭টি সদস্যদেশ ভোটদানে বিরত ছিল। আর চীন, ফিলিপাইন ও বুরুন্ডি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন-ইইউ ও অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কোঅপারেশন-ওআইসি’র আনা প্রস্তাবে মিয়ানমারকে ভবিষ্যতে বিচারের মুখোমুখি করতে সম্ভাব্য গণহত্যা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রমাণ সংগ্রহ করতে একটি তদন্তদল গঠনের কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইনে রোহিঙ্গা বিরোধী অভিযান শুরু করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। এতে প্রতিবেশী বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাড়ে ৭ লাখ রোহিঙ্গা দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের বিরুদ্ধে খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ করলেও তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মিয়ানমার। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :