শিমুল মাহমুদ: আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির পূর্বঘোষিত জনসভা অনুষ্ঠিত হবেই বলে জানিয়েছেন দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ।
শুক্রবার(২৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়াজিত এক আলোচনা সভায় তিনি জোর দিয়ে বলেন, আগামীকাল ২৯ তারিখ তারা (পুলিশ) এমনিতেই বলে দিয়েছে সমাবেশ না করতে৷ পরে আমরাই পুলিশের কাছে ৩০ তারিখে জনসভার জন্য দাবি জানিয়েছি এবং ইনশাল্লাহ ৩০ তারিখে জনসভা হবেই।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য আ স ম হান্নান শাহ এর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে এ সভা হয়।
মওদুদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবি, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন, সংসদ ভেঙে দেয়া, নির্বাচনে সেনা মোতায়েন ইত্যাদি দাবি নিয়ে এই জনসভার জন্য আমরা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি। জনসভা হবেই।
প্রতারণার জন্য নতুন প্রজন্ম আর আওয়ামীগকে ভোট দিবে না দাবি করে বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন,'কোটা আন্দোলনে প্রথম দিকে সরকার তাদেরকে সমর্থন জানালেও পরে তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। ঠিক এক আচরণ করেছে নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ওপর। আগামী নির্বাচনে এই সকল নতুন প্রজন্ম আওয়ামী লীগকে প্রত্যাক্ষান করবে।
সরকারের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কড়া সমালোচনা করে সাবেক এই আইনমন্ত্রী বলেন,'এই আইনটা করা হয়েছে নির্বাচনের আগে দূরবিসন্ধিমূলকভাবে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য।
আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের আলোচনায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইফ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন,' ৩০ তারিখ আমাদের জনসভা হবে ইনশা আল্লাহ,গোটা বাংলাদেশের মানুষ আছে আমাদের সাথে এক আল্লাহ ছাড়া বিএনপিকে ঠেকিয়ে রাখার কেউ নেই।
আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে হলে কৌশল নিতে হবে দলের নীতিনির্ধারকদের প্রতি এমন দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন,'আপনাদের কৌশলকে আমরা স্বাগত জানাই।সারা দেশের মানুষ অপেক্ষায় আছে কখন কোন সময় আন্দোলনের ঘোষণা আসবে।
আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমানের চৌধুরীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দীন আলম,সাবিরা নাজমুল,সংগঠনের সাধারন সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ বক্তব্য দেন।
আপনার মতামত লিখুন :