সুজন কৈরী: মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী ৭দিনের বিশেষ ‘ক্র্যাশ বা সাড়াশি অভিযান’ চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর (ডিএনসি)। অভিযানকালে ৬০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গত ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ডিএনসির নেতৃত্বে ডিএমপি, গোয়েন্দা পুলিশ, সিটিটিসি এবং এপিবিএনের সহায়তায় এই অভিযান শুরু হয়। শেষ হয় ২৬ সেপ্টম্বর। এ সময় দেশব্যাপী ২ হাজার ৪৭৮টি অভিযান চালিয়ে বিভন্ন থানায় ৫৫৯টি মামলা দায়ের করেছে ডিএনসি।
ডিএনসি জানায়, সাতদিনের অভিযানে ৫৯ হাজার ৫০৬পিস ইয়াবা, ৬৬ কেজি গাঁজা, ১৪২ বোতল বিদেশি মদ, ৫১৬ বোতল ফেন্সিডিল, ২২৪ গ্রাম হেরোইন, ৯৭ হাজার ৫২৫ লিটার জাওয়া বা ওয়াস, ৫৮৯ লিটার চোলাই মদ, ৭৯৫ লিটার ডিনেচার্ড স্পিরিট, ১৬২ এ্যাম্পুল ইনজেকটিং ড্রাগ, ১৩৯ বোতল এনার্জি ড্রিংক্সসহ অন্যান্য মাদক ও ১ লাখ ১৪হাজার ৭শ’ টাকা জব্দ করা হয়েছে।
ডিএনসি বলছে, অভিযানকালে তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীরা আত্মগোপনে বা পালিয়ে যাওয়ায় গ্রেতারের সংখ্যা কম। তবে মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে একটা আতঙ্ক তৈরির পাশাপাশি মাদক ব্যবসায়ীদের একটি ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে যে, মাদক ব্যবসা করে পার পাওয়া যাবেনা।
ঢাকা মেট্রো উপ-অঞ্চলের উত্তর বিভাগের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম জানান, দেশব্যাপী ১৫ দিনের মাদকবিরোধী ক্র্যাশ প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়। ডিএনসির তত্ত্বাবধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট সহায়তা করেছে। দুই পর্যায়ে সাড়াশি অভিযানের প্রথম অংশ শেষ হয়েছে। আবার দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ৭দিন অভিযান চালানো হবে। তবে তার দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
ডিএনসি বলছে, সারা দেশে ৩ হাজারেরও বেশি মাদক স্পট এবং ৩ হাজার ১২০ জন মাদক কারবারির তালিকা ধরে অভিযান চলেছে। এ সময় প্রত্যেকের বাসা ও স্পটে অভিযান চালানো হয়। ডিএনসির ছয়টি গোয়েন্দা ইউনিটের নেতৃত্বে একযোগে দেশের বিভিন্ন জেলায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে অর্ধশতাধিক মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :