ডেস্ক রিপোর্ট : বৃহস্পতিবার বিকেল বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেন সিইসিএকাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনেক প্রার্থী ও দলের অংশগ্রহণ প্রত্যাশা করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘যত বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে, নির্বাচন ততবেশি সুষ্ঠু হবে।’ বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দল বা নেতাদের সঙ্গে আলাদাভাবে বসার সময় নেই।’
রেজিস্ট্রেশন সম্পর্কে এক প্রশ্নের তিনি বলেন,‘ বিএনপির কোনও প্রার্থী নির্বাচনে না এলে দলটির জন্য ঝুঁকি থেকে যাবে।’
নির্বাচনে সেনা মোতায়েন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তফসিল ঘোষণার পর বৈঠকের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
নির্বাচন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন পেছানোর সুযোগ নেই। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুসারে সঠিক সময়েই নির্বাচন হবে।’
ইভিএম নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে সিইসি কেএম নুরুল হুদা বলেন, ‘জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো চাইলে আগামী নির্বাচনে সীমিতভাবে ইভিএম ব্যবহার করা হবে। ইভিএমের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, এর জন্য আইনের পরিবর্তন প্রয়োজন। এ ব্যাপারে আইন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। প্রস্তাবটি গ্রহণ করা হলে আগামী মাসের ৪-৫ তারিখে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অনুষ্ঠিত আইটি মেলায় ইভিএম প্রদর্শন করা হবে।’
তিনি ইভিএমের গুণাগুণ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এটি এমন একটি মেশিন যার মাধ্যমে জালভোট দেওয়া সম্ভব নয়। ভোটের দিন সকাল ৮টার আগে এর কার্যক্রম শুরু হবে না। আবার বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার পর কাজ করবে না। এক আঙুলের ছাপ দুইবার গ্রহণ করবে না। ফলে সঠিকভাবে ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে এবং এর প্রতি জনগণের আস্থা বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি কোনও নির্বাচনি সফর নয়। জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভিন্ন বাহিনী প্রধানদের সঙ্গে নির্বাচনের প্রস্তুতির ব্যাপারে কথা বলতে এসেছি ’
সবাইকে আশ্বস্ত করে তিনি বলেন, এ জেলায় নির্বাচনে কোনও ঝুঁকি নেই। সমন্বয়ের মাধ্যমে একে অপরকে সহযোগিতা করলে সঠিক ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হবে।’
নির্বাচন কেন্দ্রে সাংবাদিকদের অবস্থান প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘তারা আগের মতোই নিয়ম-কানুন মেনে চলবেন। তবে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যদি মনে করেন তাদের অবস্থানের কারণে বিড়ম্বনা সৃষ্টি হচ্ছে, সেক্ষেত্রে সাংবাদিকরা এক কেন্দ্রে বেশিক্ষণ অবস্থান করতে পারবেন না। এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট নীতিমালা আছে, যা ভোটের আগেই পাঠানো হবে।’
বগুড়ার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের যুগ্ম সচিব খন্দকার মিজানুর রহমান, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভুঁঞা, র্যাব-১২ বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর এসএম মোরশেদ হাসান, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা আমিরুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা দেওয়ান সরওয়ার জাহান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :