সমীরণ রায়: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক-পরিবহন এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে সহিংসতা করলে দাঁত ভাঙা জাবাব দেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সঙ্গে সম্পাদক মন্ডলীর এক সভায় তিনি বলেন, আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এবং তাদের দোসররা নাশকতা ও সহিংসতার ছক আঁটছে। নির্বাচনের জন্য আমরা সুসংগঠতিভাবে এক হয়েছে। এখানে আন্দোলনের নামে কোনো নৈরাজ্য ও নাশকতা করলে রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা কলা হবে। পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাওছার প্রমুখ।
সভায় তিনি বলেন, বিএনপির সভাটা কবে হবে, এটাতো এখনও ঠিক হয়নি। বিএনপি জোর করে ২৯ সেপ্টম্বর করবে? কেন এই জেদাজেদি? অনুমোদন ছাড়া আপনি সভা করবেন, এত লাফালাফি কেন? ১০ বছরের ১০ মিনিটও রাস্তায় নামতে পারেননি। বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে খুশি করারর জন্য লাফালাফির পরিণতি শুভ হবে না। হুমকি-ধামকি দিলে আমরা ঘরে বসে ডুগডুগি বাজাবো, তা হবে না।
১৪ দলীয় জোটের ২৯ সেপ্টম্বর নাগরিক সভা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১৪ দল পেশাজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছে, নিজেরা বসেছে। এখন তাঁরা মহানগর নাট্যমঞ্চে আরও একটু বড় পরিসরে সমাবেশ করবে। এটা বিএনপির সঙ্গে কোনো পাল্টাপাল্টি নয়। এ নিয়ে আমাদের মধ্যে কোনো উদ্বেগ নেই। তবে সতর্কতা আছে। আমরা সতর্ক আছি।
তিনি বলেন, দেশের রাজনীতি অঙ্গনে অশুভ শক্তির পদধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। আন্দোলনে ব্যর্থ বিএনপিসহ তাদের সাম্প্রদায়িক দোসররা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আন্দোলনের নামে নাশকতা ও সহিংসতার ছক আটছে। সহিংসতার পরিকল্পনা নিয়ে এগুচ্ছে।এটাই আমাদের মেসেজ, ইনফরমেশন। তারা যেভাবে হাকডাক হুমকি ধমকি শুরু করেছে, সেভাবে দেশে অস্থিতিশীল সৃষ্টির পায়তারা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, তারা জাতীয় ঐক্যের কথা বলছে। কিছুদিন আগে আইআরআইয়ের গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে আমাদের দলীয় সভাপতির জনপ্রিয়তা ৬৬ শতাংশ ও দলের জনপ্রিয়তা ৬৪ শতাংশ। দেশের ৬৬ শতাংশ মানুষ যে দল এবং নেত্রীকে সমর্থন করেন। জনতার এই সিংহভাগকে বাদ দিয়ে কিভাবে জাতীয় ঐক্য? এটাতো আসলে জাতীয় ঐক্য নয়, এটা আসলে জাতীয়তাবাদী সাম্প্রদায়িক ঐক্য। জনতা নয়, নেতায় নেতায় ঐক্য।
আপনার মতামত লিখুন :