শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৪ দুপুর
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরকীয়া অপরাধ নয়

ডেস্ক রিপোর্ট: সমকামিতার পর এবার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক বা ব্যভিচার ‘অপরাধ নয়’ জানিয়ে এ সংক্রান্ত দেড়শ বছরের পুরনো একটি আইন বাতিল করে দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। ফলে দেশটিতে এখন থেকে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক বৈধতা পেল।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর আদালত এক ঐতিহাসিক রায়ে ঔপনিবেশিক আমলের ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারাকে অসাংবিধানিক ঘোষণা দিয়ে সমকামিতার বৈধতা দেয়।

বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারাকে বাতিল করে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের ওপর থেকে আইনি বাধা তুলে নিয়ে রায় ঘোষণা করেন। খবর: এনডিটিভি ও আনন্দবাজারের

সুপ্রিম কোর্ট যে রায় দিয়েছে তাতে বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ১৫৮ বছরের পুরনো একটি বিধান বাতিল হয়ে গেছে। ভিক্টোরিয়ান আমলের আইনটিতে এ ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে নারীদের ‘সম্পত্তি’ হিসেবে বিবেচনা করে শুধুমাত্র পুরুষকে সাজা দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল।

ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারার এ আইনে বলা ছিল, কোনো ব্যক্তি কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করলে এবং তাতে ওই নারীর স্বামীর অনুমতি না থাকলে বিষয়টিকে ধর্ষণ বিবেচনা করে ব্যভিচারে লিপ্ত পুরুষের পাঁচ বছর পর্যন্ত জেল, জরিমানা কিংবা উভয় দণ্ড হতে পারে।

বিবাহিত নারীকে ‘অপরাধের শিকার’ বিবেচনা করে ওই আইনে সম্পর্ক স্থাপনকারী পুরুষকেই দোষী হিসেবে গণ্য করার বিধান ছিল।

রায় দিতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র বলেন, ‘কোনো বিবাহিত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক থাকা অপরাধ নয়।’ সেই সঙ্গে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চ আইনটিকে ‘পশ্চাৎপদ’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই আইন বহাল থাকার অর্থ হলো ‘অসুখী মানুষকে’ দণ্ড দেওয়ার বৈধতা দেওয়া।

দণ্ডবিধিতে বিবাহিত নারীদের ক্ষেত্রে স্বামীর সম্মতি ছাড়া অন্য কোনো পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক রাখলে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড ও উভয়-দণ্ডের বিধান ছিল।

ঔপনিবেশিক এই আইন সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, কোনো স্বামী তার স্ত্রীর প্রভু বা মালিক হিসেবে বিবেচিত হতে পারেন না। ভারতের সংবিধানে স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া আছে, নারীকে ব্যক্তিগতভাবে অসম্মানিত করে বা বৈষম্য সৃষ্টি করে এমন যেকোনো আইন এই সংবিধানের পরিপন্থী হবে। পৃথিবীর অন্যান্য দেশও এ ধরনের আইনগুলো অনেক আগেই বিলোপ করে দিয়েছে বলে জানান তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়