আক্তারুজ্জামান : টস ভাগ্য মাশরাফির পক্ষে গেলেও শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ১২ রানেই ৩ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে পথ দেখান সেই মুশফিক-মিঠুন জুটি। তাদের দেখানো পথেই বাংলাদেশ শেষ পর্যন্ত মোটামুটি স্কোর দাঁড় করিয়েছে। ৭ বল বাকি থাকতেই সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান করে বাংলাদেশ। ফাইনালে যেতে হলে পাকিস্তানকে করতে হবে ২৪০ রান।
আবুধাবিতে এদিন ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই জুনায়েদ খানকে উইকেট ছুঁড়ে দেন ওপেনার সৌম্য সরকার। সৌম্যর বিদায়ে ব্যাট করতে নেমে পরের ওভারে শাহীন আফ্রিদিকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে শুরুটা ভালো করেন মমিনুল। কিন্তু তাঁর পরের বলেই বাঁহাতি এই পেসারের দুর্দান্ত ডিলেভারিতে বোল্ড আউট হন এই ব্যাটসম্যান। ৫ রান আসে তাঁর ব্যাট থেকে। দুই উইকেট হারিয়ে বসা বাংলাদেশকে আরও বড় বিপদে ফেলেন লিটন দাস।
এরপর দারুণভাবে দলের হাল ধরে মুশফিক – মিথুন জুটি। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের মতোই সুপার ফোরের শেষ ম্যাচেও ব্যাট হেসেছে এই দু’জনের। তাদের ব্যাটে ভর করে শুরুর ধাক্কাটা সামলেছে বাংলাদেশ। গড়েছেন ১৪৪ রানের রেকর্ড জুটি।
বাংলাদেশের রানের ভিত আগেই গড়ে দিয়েছেন। মোহাম্মদ মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে চতুর্থ উইকেট জুটিতে গড়েছেন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ রানের জুটি। সেই মুশফিকুর রহিম গড়েছেন আরেকটি বিরল রেকর্ডও। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ক্রিকেটের যে কোন ফরম্যাটে ৯৯ রানে আউট হয়ে ফিরলেন।
মুশফিক ছাড়া বলা মতো মিথুন ৬০, মাহমুদুল্লাহ ২৫ রান করেন। পাকিস্তানের হয়ে জুনায়েদ খান ৪টি, হাসান আলী ও শাহীনশাহ আফ্রিদি ২টি করে এবং শাদাব খান ১টি উইকেট নেন।
আপনার মতামত লিখুন :