শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৭ রাত
আপডেট : ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

এশিয়া কাপে আম্পায়ার আনিসুর রহমানের অভিষেক

স্পোর্টস ডেস্ক: খেলোয়াড়ি জীবনে ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল তার আমিরাতে। আম্পায়ার হিসেবেও বিদেশের মাটিতে তার অভিষেক আমিরাতের মাটিতেই।
গতকাল দুবাইয়ে ভারত-আফগানিস্তান ম্যাচে অন্যতম আম্পায়ার ছিলেন বাংলাদেশের আনিসুর রহমান। শ্বাসরুদ্ধকর এই ম্যাচে আম্পায়ারিং করে দারুণ উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক এই পেসার। তিনি বলেছেন, ‘এমন ম্যাচ সব সময়ই উপভোগ করি। কিন্তু কখনো ভাবিনি এমন একটা ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে আমি থাকব।’
২০১৪ সাল থেকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আম্পায়ারিং করছেন ৪৭ বছর বয়সী আনিস। এখনো পর্যন্ত ৯টি ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছেন। টি-টোয়েন্টি ম্যাচের সংখ্যা ১৩।
এই প্রজন্মের অনেকেই জানেন না নব্বইয়ের দশকে নিজেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের অপরিহার্য পেসার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন তিনি। অনেকেই জানেন না, দেশের ক্রিকেটে রিভার্স সুইং সাফল্যের সঙ্গে সার্থকভাবে যতজন ব্যবহার করেছিলেন বাঁ হাতি পেসার আনিস ছিলেন তাদের অন্যতম। ১৯৯৫ সালে আরব আমিরাতের শারজায় পঞ্চম এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে তার ওয়ানডে অভিষেক হলেও সেটি ভুলে যাওয়ার মতোই। শচীন টেন্ডুলকারের অগ্নিমূর্তির সামনে পড়েছিলেন। ৫ ওভার বল করে ৪২ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন তিনি। মাত্র দুটি ওয়ানডে খেলার সুযোগ মিলেছিল তার। শেষ ওয়ানডেটি ১৯৯৮ সালে, মুম্বাইয়ে ভারতের বিপক্ষে।
বোলার হিসেবে আনিসের সেরা সাফল্য ১৯৯৪ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত সার্ক চারদেশীয় ক্রিকেটে। সে টুর্নামেন্টে ভারত, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ‘এ’ দলের সঙ্গে খেলেছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠা বাংলাদেশের অন্যতম সেরা পারফরমার ছিলেন আনিস। সেবার চার ম্যাচে মোট ১০ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ১৯৮৯ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বেক্সিমকো এশিয়া যুব ক্রিকেট দিয়ে তার উত্থান। সে টুর্নামেন্টে ভারত ও পাকিস্তান দুই দলের বিপক্ষেই তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন তিনি।
২০১৪ সাল থেকে দেশের মাটিতেই ম্যাচ পরিচালনা করছেন আনিস। এবারই বিদেশের মাটিতে অভিষেক হলো তার। মজার ব্যাপার, খেলোয়াড়ি জীবনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের মতোই বিদেশের মাটিতে আম্পায়ারিংয়ের অভিষেকও তার আরব আমিরাতে। এশিয়া কাপে হংকং-ভারত ম্যাচটি বিদেশের মাটিতে আম্পায়ার হিসেবে তার প্রথম।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়