নিজস্ব প্রতিবেদক : ইউএস-বাংলার ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটি ১৬৪ জন যাত্রী নিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলেন ক্যাপ্টেন জাকারিয়া। নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্য কক্সবাজার বিমানবন্দরের কাছাকাছি পৌছার পর হঠাৎ করে বিমানের সামনের নোজ হুইল কাজ করছিলো না। ফলে কক্সবাজার বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক বিমান অবতরনের অনুমতি দেয়নি।
উপায়ন্তর না দেখে বিমান নিয়ে রওনা দিলেন ঢাকার উদ্দেশ্যে। সেখানেও মিললনা অবতরনের অনুমতি। যাত্রীরা উৎকণ্ঠিত হয়ে পড়লেন। দুর্ঘটনা আতঙ্কে যখন সকলের জীবননাশের আশংকা অদম্য সাহস নিয়ে ক্যাপ্টেন জাকারিয়া বিমানটিকে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবতরনের সিদ্ধান্ত নেন। ফুয়েল শেষ করার জন্য তিনি আকাশে বেশ কিছুক্ষণ চক্কর দিতে থাকেন। অসীম সাহস নিয়ে পেছনের চাকার উপর ভর করে বিমানটি অবতরণ করেন।
শেষ পর্যায়ে এসে বিমানের সম্মুখ ভাগ রানওয়েতে মুখ থুবড়ে পড়ে। শেষ পর্যন্ত বড় ধরনের দুর্ঘটনা ছাড়াই বিমানের সব যাত্রী নিরাপদে বিমান থেকে নেমে আসেন। ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক (জিএম-পিআর) কামরুল ইসলাম বলেন, ফ্লাইটে ১১ শিশুসহ (ইনফ্যান্ট) ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু ছিল। তাদের সবাই নিরাপদে আছেন। বিমানের যাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট সকলের মন্তব্য পাইলটের অসাধারণ দক্ষতায় ৭৩৭ মডেলের বোয়িং বিমানটি ক্র্যাস ল্যান্ডিং থেকে বেঁচে গেছে। রক্ষা পেয়েছেন ফ্লাইটে থাকা ১৬৪ যাত্রী ও সাত ক্রু। সিভয়েস
আপনার মতামত লিখুন :