স্বপ্না চক্রবর্তী : বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছেন ভারতের বাণিজ্য, শিল্প ও বেসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রী সুরেশ প্রভু।
বুধবার দুপুর ১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে প্রায় দুই ঘণ্টা দুই দেশের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়।
সুরেশ প্রভু বলেন, বাংলাদেশ যা করেছে তা বিস্ময়কর। বর্তমানে বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি তাতে খুব তাড়াতাড়ি বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে। এই অগ্রযাত্রায় ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ভারতের এখন ১০ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি, তাই আমরা বাংলাদেশের পাশে থাকতে পারব। দুই দেশের জনগণের সম্পর্কের জায়গা থেকে ভারত বাংলাদেশের পাশে থাকবে। আজ আমাদের মধ্যে অনেক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে, খুব তাড়াতাড়ি আমরা ইসতেহার আকারে সেগুলো পাঠানো হবে।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, আলোচনা মাধ্যমে আমাদের বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট দ্বিপক্ষীয় যেসব সমস্যা ছিল, সেগুলোর সমাধান হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় ও বহুপাক্ষিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে চায় ভারত। তারা দুই দেশের মধ্যে একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চায়, যেখানে দুই দেশেরই সমান লাভ থাকবে। আলোচনা শেষে দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটতে কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ এগ্রিমেন্ট (সিপা) সই করতে দুই দেশ সম্মত হয়েছে। আমরা ভারতের বিনিয়োগকারীদের একশ’টি অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করতে প্রস্তাব দিয়েছি, এতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে এবং দুই দেশই লাভবান হবে।
গত ১০ সেপ্টেম্বর জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নবী নেওয়াজের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দুই দেশের পণ্য বিক্রি বাড়াতে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তবর্তী এলাকায় আরও বর্ডার হাট বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে এলে বর্ডার হাটের বিষয়টি আলোচনা করা হবে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। ভারত এই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেবে। প্রথম হাট বসবে শেরপুরে। ভারতের পক্ষ থেকে আমরা আশ্বাস পেয়েছি, তারা জুট এন্টি ডাম্পিং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবে।
তিনি আরও বলেন, ভারতে রফতানি কম হলেও আমাদের ক্ষতি নেই। পণ্য আমদানি করেও আমরা লাভবান হচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :