ইকবাল আনোয়ার : কারেন্ট চলে গেলে পাশের মস্তো ফ্ল্যাটে জেনারেটর গর্জে উঠে, সাইলেন্সারের বালাই নেই, প্রয়োজন নেই, আইন থাকলেও তা ছোট লোকের জন্য, ফলে ভ্রুক্ষেপ নেই। আবার অন্যদিকে বাড়ি তৈরি হচ্ছে বড়ো মানুষের, সেখানে সৃষ্ট নিত্য নানান মাত্রার জঘন্য শত্রু-শব্দ, হঠাৎ আঁতকে ওঠার মতো বিকট দৈত্য-শব্দ, শরীর মন সৃজনশীলতা ধী-শক্তি, ধৈর্য্য, সব কেড়ে নিয়ে বানিয়ে দিয়েছে কোমল কৃতদাস। শিশু ঘুম ভেঙ্গে আঁতকে উঠে, কতো কষ্টে তাকে ঘুম পাড়ানো গেছে, মা যাবে আফিসে, অনেক কাজ! অসুস্থ পিতার ওষুধে বহু প্রতিক্ষার ঘুম শেষ, এখন বাড়বে রক্তচাপ। মাথা ধরা রবে সারাদিন। কান গেছে ধীর লয়ে। পাশের ঘর থেকে বললেও শোনা যায়না স্পষ্ট আজ। পুত্রের অংক মিলেনা, ক্লাসে সে শোনেনা। সব শেষ এভাবে কেবল এক শব্দ নামের দানবেরই কারণে!
মূল বিষয়েরই যেখানে হয়নি এখনো কোন রফা, সেখানে শব্দ দূষণ নিয়ে কথা বলা বাতুলতা ভেবে, তারা বিধির লিখন বলে এসব মেনে নিয়েছে।
ভোঁতা হয়ে গেছে সব, সংসার, সমাজ! এক ধরনের সমাধান হয়ে গেছে।
একদিন ঘরে, দূর সম্পর্কের কে যেন হোমরা এক এলে পরে,
তারা গৌরব বোধ করে,
বালক একজন, কিছু সংস্কৃতি কর্ম টর্ম করে এ শহরে,
বলে, কাকু, আমরা তো শব্দের কারণেই জব্দ হয়ে গেলাম যে,
কিছু প্রতিকার-ট্রতিকার! আইনের প্রয়োগ ট্রয়োগ...হতে কি পারে?
এমন সময় বিকট আওয়াজ করে,
হোমরার হোন্ডা বাহিনী পথে রাজকীয় শব্দ ভা-ার উপহার দিতে দিতে চলে গেলে,
কিছুই শোনা গেলোনা বলে, শব্দের সমন্ধে শেষ অনুযোগও ভেসে গেলো শব্দের তোড়ে!
আপনার মতামত লিখুন :