ফয়সাল মেহেদী: চালক ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বীমা সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে রাইড শেয়ারিং সেবাদাতা ‘পাঠাও’।
মঙ্গলবার ডটলাইন বাংলাদেশ লিমিটেডের সঙ্গে এ সংক্রান্ত একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডটলাইন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হাসান মেহেদী ও ‘পাঠাও’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হুসেইন এম ইলিয়াস।
চুক্তি অনুযায়ী, ডটলাইন বাংলাদেশের আইআর ইন্স্যুরেন্স ব্র্যান্ড কার্নিভালের অধীনে ‘কাস্টমাইজ ইন্স্যুরেন্স’ দেওয়া হবে দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত ‘পাঠাও’র চালক ও যাত্রীদের। ডটলাইন বাংলাদেশের সার্বিক সহায়তায় ক্ষতিপূরণের টাকা দেবে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স। ট্রিপের সময় দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর জন্য এক লাখ টাকা এবং আহত হয়ে অক্ষম হলে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। এছাড়া দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
অনুষ্ঠানে হুসেইন এম ইলিয়াস বলেন, সড়কে চালক ও ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই এই বীমা সেবা চালু হল।
ডটলাইন বাংলাদেশের সিইও হাসান মেহেদী বলেন, পাঠাওয়ের প্রতিটি ট্রিপ বীমা সুবিধার আওতায় থাকবে। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের এই সুবিধা পেতে কোনো ধরনের কাগজপত্র বা অফিসে আসার প্রয়োজন পড়বে না, ঘরে বসেই এই সুবিধা নিতে পারবেন তারা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, দুর্ঘটনার পর ১৫ থেকে ৬০ দিনের মধ্যে বীমা সুবিধা দাবি করতে পারবেন চালক ও যাত্রীরা। এজন্য ‘পাঠাও’ অ্যাপের হিস্টোরিতে গিয়ে ‘রিপোর্ট ইস্যু’ বাটনে ক্লিক করে দুর্ঘটনাগ্রস্তরা বীমা দাবি জানাতে পারবেন। এরপর বীমা দাবির সত্যতা যাচাই করে ‘পাঠাও’র কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধিরা বীমা প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার কাছে তা পৌঁছে দেবেন। রিপোর্ট করার পর তিন থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ক্ষতিপূরণ মিলবে।
অনলাইনে সরাসরি বীমা প্রতিষ্ঠানের কাছেও রিপোর্ট করতে পারবেন ক্ষতিগ্রস্তরা, সেক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ও ডেথ সার্টিফিকেট স্ক্যান করে আপলোড করা ছাড়া অন্য কোনো ঝক্কি পোহাতে হবে না। পাঠাও ব্যবহারকারী ও চালক ছাড়াও ব্যবহারকারীর কোনো সঙ্গীও যদি ট্রিপে উপস্থিত থাকে এবং দুর্ঘটনার শিকার হয়, তারাও বীমা সেবার আওতায় থাকবেন।
অনুষ্ঠানে ‘পাঠাও’র সিটিও সিফাত আদনান, ভাইস প্রেসিডেন্ট অব রাইডস কিশোর হাশমিসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :