শিরোনাম
◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সব সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও) ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট স্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ আইনজীবীদের গাউন পরতে হবে না: সুপ্রিমকোর্ট ◈ তীব্র গরমে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসা আরও ৭ দিন বন্ধ ঘোষণা ◈ সিরিয়ায় আইএসের হামলায় ২৮ সেনা নিহত

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর
আপডেট : ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১০:৪৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঝুঁকিতে ইন্দুরকানী নদী তীরবর্তী ২০ হাজার মানুষ

খেলাফত হোসেন খসরু, পিরোজপুর: দুর্যোগ ঝুঁকিতে রয়েছে উপকূলীয় এলাকা পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানী উপজলার নদী তীরবর্তী ২০ হাজার মানুষ। উপকূলীয় জনপদের জনসাধারণের ঝড়, বন্যা, জলোচ্ছ্বাসসহ নানা রকম প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিত্যসঙ্গী। অথচ দুর্যোগ মোকাবেলায় এখনও পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রায় কেন্দ্রও নির্মাণ হয়নি।

২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডরের তান্ডবলীলার কথা স্মরণ করে আজও আঁতকে ওঠেন উপজেলাবাসী। সেদিন ৬৫ জনের প্রাণহানী হয়। এছাড়া ২০০৯ সালের ২৫ মে আইলার আঘাতে পানগুছি, কচা ও বলেশ্বর নদের বেঁড়িবাধসহ গোটা উপজেলার কাচাপাকা অসংখ্য রাস্তা ঘাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বর্ষা মৌসুমে কচা ও বলেশ্বর নদ রুদ্রমূর্তি ধারণ করায় নদী তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত প্রায় ২০ হাজার মানুষকে চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়।

তবে এরমধ্যে সবচেয় বেশি দুর্যোগ ঝুঁকিতে আছে সাইদখালির মাঝের চর ও পাড়েরহাট আবাসন, কলারন জাপানি ব্যারাক ও চাড়াখালী গুচ্ছগ্রামে বসবাসরত শত শত পরিবার। নদীর মাঝে গড়ে ওঠা সাইদখালী চরের চারদিকে কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় স্বাভাবিক জোয়ারে এর নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

এছাড়া কচা ও বলেশ্বর নদীর ভাঙন অব্যাহত থাকায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের শত শত একর ফসলি জমি, বাড়িঘর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। দিনদিন ভাঙনের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ উপজেলার ভৌগলিক অবস্থানও ক্রমেই সংকুচিত হয়ে আসছে। প্রকৃতির সঙ্গে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকা এ উপজেলাবাসীর প্রাণের দাবি নদী তীরবর্তী ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে অচিরেই নদী ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং টেকসই বাঁধ নির্মাণ করে ভুখন্ডকে রক্ষা করা।

খোলপটুয়া গ্রামের কচা নদীর নিকট বসবাসরত রহিমন বেগম ও হাবিবুর রহমান জানান, বেঁড়িবাধ না থাকায় তাদেরকে সব সময় আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাতে হয়। কখন দুর্যোগ এসে তাদের সবকিছু ভাসিয়ে নিয়ে যায়।এ ব্যাপারে ইন্দুরকানী উপজেলা চেয়ারম্যান মাসুদ সাঈদী জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলাবাসীর জন্য পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার ও টেকসই বাঁধ নির্মাণ অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে।

পিরোজপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মা. সাঈদ আহমদ বলেন, ইন্দুরকানী উপজেলায় বেঁড়িবাধের জন্য ইতোমধ্যে ৪ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। এটি টেন্ডারের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে টেন্ডার এবং কবে নাগাদ এর কাজ শুরু হতে পারে তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়