নূর মাজিদ : চলতি সেপ্টেম্বরে ৭৭০ কোটি ডলারের মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রি করেছে চীন। গত বৃহ¯পতিবার মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের প্রকাশিত প্রতিবেদনে একথা জানানো হয়। বর্তমানে চীনের কাছে ১ লাখ ১৭ হাজার ১০০ কোটি ডলারের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডের মালিকানা রয়েছে। তবে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে মার্কিন ডলারকে আর শক্তিশালী অবস্থানে রাখতে রাজী নয় চীন। এমন প্রেক্ষাপটে তারা মার্কিন ডলারকে দুর্বল করতে মার্কিন ট্রেজারি বন্ড বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে, অভিমত বিশেষজ্ঞদের।
বর্তমানে মার্কিন সরকারকে ঋণ দেয়া রাষ্ট্রগুলোর তালিকায় শীর্ষে রয়েছে চীন। এরপরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান। তাদের হাতে ১ লাখ ৩ হাজার কোটি ডলারের ট্রেজারি বন্ড রয়েছে। আশ্চর্য হলেও এরপরেই অবস্থান আয়ারল্যান্ডের। দেশটি প্রায় ৩০ হাজার কোটি ডলারের ট্রেজারি বন্ড কিনেছে।
তবে চীনের ট্রেজারি বন্ড বিক্রি নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন অর্থনীতি বিশ্লেষকগণ। তারা আশঙ্কা করছেন, চীন যদি আরও বন্ড বিক্রি করে তবে ডলারের মুল্যপতন হতে পারে। ফলে, বিশ্ব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় একটি বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। ইতোপূর্বে, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রেক্ষাপটে রাশিয়া তাদের কেনা মার্কিন বন্ডের ৮৫ শতাংশ বিক্রি করে দেয় এবং ডলারের মজুদ কমিয়ে নিজেদের স্বর্ণের রিজার্ভ বাড়ানোর ঘোষণা দেয়। এসময় দেশটি মার্কিন বন্ডে তাদের বিনিয়োগ ৯ হাজার ৬শ কোটি ডলার থেকে কমিয়ে ১ হাজার ৫শ কোটি ডলারে নামিয়ে আনে। এরপরেই, ডলারের মূল্য স্থির রাখতে সুদের হার বৃদ্ধি করেছে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভ। তবে চীনের কাছে বিপুল অঙ্কের মার্কিন দেনার দায় দেশটি ছেড়ে দিলে মার্কিন ডলারের পতন ঠেকানো মুশকিল হবে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। এমতাবস্থায়, মার্কিন সরকারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ধরে রাখাও মুশকিল হবে।
সুইস দৈনিক ন্যুয়ে জুর্চার জেইটুং জানায়, বর্তমানে একাধিক দেশ মার্কিন ডলারের ওপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে আনতে চাইছে। মার্কিন বিশেষজ্ঞ রোনাল্ড পিটার স্টেফেরলে জানান, ট্রাম্প প্রশাসনের বাণিজ্য নিয়ে সংরক্ষনবাদি আচরণের কারণেই বিশ্বের অন্যান্য দেশ মার্কিন ডলারের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলছে। ফলে তারা মার্কিন ডলারের অবস্থান দুর্বল করতে চাইছে। এর ফলে মার্কিন জনগণকে আগামী দিনে দুর্ভোগের মুখে পড়তে হবে, বলেও সতর্ক করেন তিনি। ফোর্ট রাস
আপনার মতামত লিখুন :