রাশিদ রিয়াজ: ওপেকে ইরানের প্রতিনিধি হোসেইন কাজেমপুর বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি তেলের মূল্য নিয়ে টুইট করা বন্ধ করেন তাহলে তেলের দর এমনিতেই কমবে। তিনি মধ্যপ্রাচ্যে তেলের মূল্য নিয়ে ট্রাম্পের টুইট করাকে এক ‘বিষাক্ত বদ অভ্যাস’ বলে মন্তব্য করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার এধরনের টুইট অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত। এবং তা করলে বিশ্ববাজারে তেলের মূল্য সহায়ক মাত্রায় নেমে আসবে। মেহের
যুক্তরাষ্ট্রের সিএনবিসি’কে দেয়া এক মন্তব্যে হোসেইন কাজেমপুর বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন ওপেকের সদস্য দেশগুলোর ওপর তেলের মূল্য কমিয়ে আনতে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করছে নিজেদের স্বার্থে। ওপেকের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র উস্কানি না দিলে এবং শান্ত থাকলে তেলের মূল্য এমনিতেই সহনীয় থাকবে। আমি ট্রাম্পকে বলছি, শান্ত থাকুন, টুইট করা বন্ধ করুন। তেলের দর স্থির থাকবে, আশ্বাস দিচ্ছি। আর ইরানের ওপর ওয়াশিংটন ওপেকের মাধ্যমে তেল রফতানির ওপর যে চাপ সৃষ্টি করছে তার সঙ্গে ইরানি আচরণ পরিবর্তনের কোনো সম্পর্ক নেই। ইরান ছাড়া ওপেকের অন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলো চায় না যুক্তরাষ্ট্র সেখানে তেল নিয়ে রাজনীতি করুক।
এদিকে ব্রিটেনে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত হামিদ বায়িদিনেজাদ বলেছেন, ওপেকে রাজনীতি করে ইরানের তেল রফতআনি বন্ধ করতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র। লন্ডনে ইরানের প্রতিরক্ষা সপ্তাহ’র এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর তেল উৎপাদন বৃদ্ধি ও তেলের দাম কমানোর ক্ষেত্রে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি চাপিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়েছে। উল্টো তেলের দাম কমে নি বরং ব্যারেল প্রতি দাম চড়েছে প্রায় ৮০ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রের চাপে যদি ইরানের তেল বিক্রি আটকে গেলে তা বিশ্বের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলতো।
গত মে মাসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র বলছে যেসব দেশ ইরানের কাছ থেকে তেল কেনে তাদেরকে নভেম্বরের মধ্যে তেল কেনা বন্ধ করতে হবে। ইরানের তেল কেনা অব্যাহত রাখলে তাদেরকেও নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন।
আপনার মতামত লিখুন :