আসিফুজ্জামান পৃথিল: নিজেদের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর বিদ্যুত ব্যবহার করতে বাংলাদেশকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করতে চায় ভারত। সে উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে একটি ৭৬৫ কেভি লাইন নিতে চায় দেশটি। এই লাইন দিয়ে ৪ হাজার মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ সরবরহ করা হবে। যার ভেতর ১০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ক্রয় করতে পারবে বাংলাদেশ।
তবে এখনও এই প্রকল্পের পূর্ণাঙ্গ কাঠামো প্রস্তুত করা হয়নি। তবে সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে। ভারত সরকার এই বিষয়ে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তা চায়। তারা তাদের অরুনাচল-বিহার সুপার হাইওয়ে গ্রিডকে বাংলাদেশের প্রস্তাবিত দিনাজপুর-জামালপুর গ্রিডে সংযুক্ত করতে আগ্রহী।
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে ৩৩ হাজার ১০০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু রাজ্যগুলোতে বিদ্যুতের নিম্ন চাহিদার কারণে এই বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছেনা। তাই ভারত সরকার চায় এই বিপুল নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ নিজেদের পশ্চিম অংশে ব্যবহার করতে চায়। ভূ-রাজনৈতিক সীমানার কারণে এই বিদ্যুৎ সরবরহে বাংলাদেশকে ব্যবহার করা দেশটির জন্য অতিব জরুরী।
ভারত এ প্রকল্পে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের সোয়ারজি ম্যাগকে বাংলাদেশের জ্বালানি বিভাগের এক জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘তারা আমাদের এ প্রকল্পে বিনিয়োগ করতে বলেছে। আমরা এখান থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ে আগ্রহী। কিন্তু এজন্য বিনিয়োগ চাওয়া হাস্যকর। জ্বালানী খাতে সহায়তা বিষয়ক যৌথস্টিয়ারিং কমিটির বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।’
সোমবার বিকেল ৩টায় সিলেটের রোজভিউ হোটেলে এই কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন জ্বালানি সচিব ড: আহমেদ কায়কাউস। আর ভারতের পক্ষে অংশ নিচ্ছেন বিদ্যুৎ সচিব অজয় কুমার ভাল্লা। ২৬ সেপ্টেম্বর যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষরের মাধ্যমে এই বৈঠক শেষ হবে।
এদিকে আমাদের অর্থনীতির সিলেট প্রতিনীধি জানিয়েছেন, মঙ্গলবার সকালে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করা হবে। বৈঠকে উপস্থিত বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড, সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী সরদার আযম মাহমুদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সোয়ারজি ম্যাগ
আপনার মতামত লিখুন :