শিরোনাম
◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু, মানতে হবে কিছু নির্দেশনা ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ বিশ্ববাজারে সোনার সর্বোচ্চ দামের নতুন রেকর্ড ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিচার শুরু ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ প্রফেসর ইউনূসকে প্রদত্ত "ট্রি অব পিস" প্রধানমন্ত্রীকে প্রদত্ত একই ভাস্করের একই ভাস্কর্য: ইউনূস সেন্টার ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ কুড়িগ্রামে অর্থনৈতিক অঞ্চলের স্থান পরিদর্শন করে দেশে ফিরলেন ভুটানের রাজা

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৬ দুপুর
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৫৬ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আগের মতোই চলছে রাজধানীর গণপরিবহন

শাকিল আহমেদ: আগের মতোই চলছে রাজধানীর গণপরিবহন ব্যবস্থা। স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করাসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পরিবহনের ফিটনেস ও লাইসেন্স, এবং সড়ক ব্যবস্থাপনার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে ১৭টি নির্দেশনা দিয়েছিলো তা বাস্তবায়নের কোন অগ্রগতি নেই।

পরিবহন খাতে বিশৃংঙ্খলা নতুন কিছু নয়। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও ঘটছে দূর্ঘটনা। সড়কে ঝড়ছে তাঁজা প্রান,বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। সম্প্রতি তিতুমীর কলেজের এক ছাত্রের হাত হারানোর পরে মৃত্যু ও শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে সাধারণ ছাত্ররা মানুষ। নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে নড়েচড়ে বসে সরকার। পরিবহন খাতে শৃংঙ্খলা ফেরাতে স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা বন্ধ করাসহ নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে পরিবহনের ফিটনেস ও লাইসেন্স, পরিবহন ব্যবস্থাপনা ও সড়ক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে স্বল্প সময়ে বাস্তবায়নের জন্য ১৭টি নির্দেশনা দেয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

নির্দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হলো- ২০ আগস্টের মধ্যে ঢাকায় চলমান সব গণপরিবহন চলাচল অবস্থায় দরজা বন্ধ রাখা এবং বাস স্টপেজ ছাড়া যাত্রী ওঠা-নামা সম্পূর্ণ বন্ধ রাখতে হবে। একই সময়ের মধ্যে গণপরিবহনে দৃশ্যমান দু’টি স্থানে চালক এবং হেলপারের ছবিসহ নাম, চালকের লাইসেন্স, মোবাইল নম্বর প্রদর্শন করতে হবে। মহাসড়কে চলমান সব পরিবহনসমূহকে সিট বেল্ট সংযোজনের করা। ৩০ আগস্টের মধ্যে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাস সমূহে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রয়োজনীয় লাইট, সিসিটিভি স্থাপন এবং ১শ’ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করা।

এছাড়া ১৮ আগস্ট মধ্যে নগরীর সব সড়কে জেব্রা ক্রসিং ও রোড সাইন দৃশ্যমান করা, ফুটপাত হকার মুক্ত রাখা, অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা উচ্ছেদ করা। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে সড়কের রোড ডিভাইডারের উচ্চতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সব সড়কের নাম ফলক দৃশ্যমান স্থানে সংযোজনের নির্দেশ দেয়া হয় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে। এছাড়া মোটরসাইকেল দু’জন আরোহীর হেলমেট বাধ্যতামূলক করা। অবৈধ পরিবহনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা এবং ফিটনেস দেওয়ার প্রক্রিয়াতে অবশ্যই পরিবহন দেখে ব্যবস্থা নিতে হবে।

তাছাড়া গত ৮ আগস্ট সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব এনায়েত উল্লাহ ঘোষণা দিয়েছিলেন রাজধানীতে চুক্তি ভিত্তিক কোন গণপরিবহন চলবেনা। যে কোম্পানি এটা মানবে না তার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করা হবে। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, রাজধানীতে এখনো চলছে ফিটনেস বীহিন গাড়ি ও চুক্তি ভিত্তিক পরিবহন। ফলে যাত্রি তোলার অসুস্থ্য প্রতিযোগিতায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা। এবিষয় জানতে এনায়েত উল্লাহকে ফোন করলে তার মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে দুই একটি গাড়ি ছাড়া বেশির ভাগ বাস দরজা খোলা রেখে বাস স্টপেজ ছাড়া যত্রতত্র যাত্রি উঠা-নামা করছে। বাসের ভিতরে চালক ও হেলপারের ছবিসহ নাম, লাইসেন্স, মোবাইল নম্বর রাখার কথা থাকলেও এবিষয়ে সচেতন নয় পরিবহন শ্রমীকরা। সাভার থেকে গুলিস্থানগামী ওয়েলকাম, ঠিকানা, মৌমিতা,সাভার পরিবহনসহ রাজধানীর বেশ কয়েকজন চালক ও হেলপার বলেন, গাড়িতে ছবি রাখার ব্যাপারে আমরা কিছু জানি না। মালিকরা আমাদেরকে এবিষয় কিছু বলেনি এবং পুলিশ কিছু জানায়নি তারা শুধু লাইসেন্স চেক করে ছেড়ে দেয়।

তবে ফুটওভার ব্রিজ ও আন্ডারপাসের ১শ’ মিটারের মধ্যে রাস্তা পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ করা না গেলেও কিছুটা সচেতন হয়েছে পথচারিরা। মটরসাইকেলে হেলমেট ব্যবহার বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক বেশি। এদিকে রাজধানীতে প্রায় ১০০ টির মত ট্রাফিক সাইন স্থাপন করেছে সিটি করপোরেশন। তবে ফুটপাতে হকার ও সড়কে অবৈধ পার্কিং এবং স্থাপনা উচ্ছেদে তেমন কোন দৃশ্যমান কোন অগ্রগতি নেই।

বুয়েটের অধ্যাপক ও পরিবহন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. সামছুল হক বলেন, মেয়র আনিসুল হকের নেয়া উদ্যোগ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঢাকার পরিবহনে শৃংঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। গুলশানে ঢাকার চাকা নামে যে বাস সার্ভিসটি চালু আছে সেখানে তো যাত্রি তোলার কোন প্রতিযোগিতা নেই। তা হলে একই ঢাকায় দুই চিত্র কেন? তাই এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে হলে পরিবেশটাকে আবেদনময়ী করতে হবে। রাস্তাঘাট ও ফুটপাত পরিস্কারন করতে হবে। আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের মাঝে একটা সচেতনতা এসেছে। তাই নিরাপদ সড়ক গড়তে পুলিশ ও বাস মালিকদের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।

এবিষয়ে ধানমন্ডি জোনের সহকারি পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) আকরাম হাসান বলেন, গাড়িতে চালক ও হেলপারের ছবি রাখার নিয়মটি এখনো চালু হয়নি। একটি অশিক্ষিত মহলে এরকম একটি পদ্ধতি চালু করতে সময় লাগবে। তবে যত্রতত্র যাত্রি তোলাসহ গেট বন্ধ গাড়ি চালানোর বিষয়টি আমরা মনিটরিং করছি। তবে এখানে যাত্রিদের ভুল রয়েছে। যাত্রিরা যেখানে সেখানে গাড়ী থামাতে চালকদের বাধ্য করছে। এছাড়া রিমোট কন্ট্রোল অটোমেটিক বৈদ্যুতিক সিগনালিং এখনো চালু হয়নি তবে শুনেছি কার্যক্রম চলছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়