শিরোনাম

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৮ দুপুর
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ১১:৪৮ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কুমিল্লার দেবিদ্বারে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই চিকিৎসককে শোকজ- দু’জন সাময়িক বরখাস্ত

মাহফুজ নান্টু, কুমিল্লা: কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নবজাতককে প্রসবের সময় আয়া ও নার্সদের অবহেলায় নবজাতকে দু’ টুকরোর ঘটনায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে যান জেলা সিভিল সার্জন ডা:মজিবুর রহমান। এ সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় দু’জন চিকিৎসককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। আর ঘটনার সাখে প্রাথমিক সতত্যা পাওয়ায় দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। দুই চিকিৎসক হলো ডা. আপেল চন্দ্র সাহা ও ডা. ফারজহানা ইয়াসমিন।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বহিঃ বিভাগে আকস্মিক অভিযানে যান। এসময় ওই দুই চিকিৎসককে কর্তব্যরত চেম্বারে না পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীররের নিকট ওই দুই চিকিৎসক কোথায় জানতে চান ।

এ সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. আহম্মেদ কবীর কোন সদুত্তোর দিতে না পারায় ওই দুই চিকিৎসককে কর্মস্থলে অনুপস্থিতির জন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে নির্দেশ প্রদান করা হয়। কুমিল্লা জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ মজিবুর রহমান আরো জানান, কুমিল্লার দেবিদ্বারে প্রসবের সময় নবজাতককে তিন খন্ড করার ঘটনায় দেহের খন্ডাংশ ডাস্টবিনে ফেলায় জেসমিন ও শিরিনা আক্তার নামে দুই আয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং এ ঘটনা অনুসন্ধানের একদিনের মাথায় গঠিত তদন্ত কমিটিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে তাদের বরখাস্ত এবং তদন্ত কমিটিতে একজন চিকিৎসকের নাম পরিবর্তন করেন।

এদিকে স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এ হাসপাতালের বহিঃবিভাগে বিভিন্ন সিন্ডিকেট কাজ করছে। নামে-বেনামে ওষধ কোম্পানী ও রোগী ভাগিয়ে নেয়ার দালাল আতংক নিত্য দিনের চিত্র। স্থানীয়রা মনে করছেন এসব অপকর্ম বন্ধে প্রশাসন ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ না নেয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষের। তারা আরও জানায়, ১১ জন চিকিৎসক থাকলেও প্রতিদিন চেম্বার করেন ২/৩ চিকিৎসক, বাকিরা অধিকাংশ সময় ব্যস্থ থাকেন প্রাইভেট ক্লিনিক নিয়ে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন, দুই ডাক্তারকে আমি কর্মস্থলে এসে পাইনি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তার কারণ জানতে চেয়ে নোটিশ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এছাড়া নবজাতক হত্যার ঘটনায় একজন নার্স ও আয়াকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে একটি এবং দেবিদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে মোট দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের পরে নবজাতক হত্যার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এদিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহাম্মেদ কবীর এ ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন এ প্রতিবেদক বলেন, ২২ জন চিকিৎসকের মধ্যে ৮টি পদ শূন্য তিনজন প্রেষনে রয়েছে বাকি ১১ জন দিয়ে চলছে বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা তার মধ্যে ওই দুইজন চিকিৎসক অনুপস্থিত। সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়