সাজিয়া আক্তার : বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় এখন ১ হাজার ৭৫১ ডলার। অর্থাৎ টাকার হিসেবে বাংলাদেশের একজন মানুষ বছরে গড়ে আয় করেন ১ লাখ ৪৩ হাজার ৭৮৯ টাকা। উন্নয়নশীল দেশের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি দেশের জন্য যা সন্তোষজনক। সুত্র : ডিবিসি টেলিভিশন
কিন্তু মোট আয়কে জনসংখ্যা দিয়ে ভাগ দিয়ে মাথাপিছু আয়ের এমন সরল হিসাবে সন্তুষ্ট নন অর্থনীতিবিদরা।
টানা ৩ অর্থবছর ৭ শতাংশেরও বেশি হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে বাংলাদেশ। বাড়ছে মাথাপিছু আয়ও। তবে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি বাড়ছে না। আবার প্রকট হচ্ছে ধনী-গরীবের আয় ও সম্পদ বৈষম্যও। তাই জিডিপির হিসাব নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
কৃষি, শিল্প আর সেবাখাতের উৎপাদনকে যোগ করে বের করা জিডিপি বাড়তে পারে অনুপাৎদনশীল কারণেও। রাস্তা বারবার খোড়া আর নির্মাণ, প্রকল্প বাস্তবায়নে ধীরগতিতে ব্যয় বেড়ে যাওয়া, ঘুষ, দুর্নীতিও বাড়িয়ে দেয় জিডিপির পরিমাণ। তাই অসন্তুষ্টি আছে জিডিপি নিয়েও।
সাধারণত জিডিপি বাড়লে কর্মসংস্থানে তার প্রভাব পড়ার কথা। কিন্তু বাংলাদেশে তার উল্টোটা হয়েছে। ২০০০ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৫ ঘর ডিঙ্গিয়ে ৭ এর ঘরে পৌঁছেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। আর কর্মসংস্থান তৈরির গতি কমে সাড়ে ৩ শতাংশ থেকে কমে নেমেছে ২ শতাংশেরও নিচে।
অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ জানান, আমাদের দেশে স্বাভাবিক বাজার অর্থনীতির যে প্রবণতা অর্থনৈতিক বাজার বৈষম্য তৈরির, সেটা শোধরানোর কোনো উপায় নেই দূর্বল কর ব্যবস্থার জন্য। দূর্বল অর্থনীতির কারণে এই সম্পদ এবং আয় পুনর্বন্টনের কোন সুযোগ সুবিধা নেই।
তাই টেকসই উন্নয়নে সুশাসন নিশ্চিত করাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন অর্থনীতিবিদরা।
আপনার মতামত লিখুন :