সাইদুর রহমান: সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে স্বাধীন হতে হংকংয়ে সক্রিয় ন্যাশনাল পার্টিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে হংকং কর্তৃপক্ষ। ১৯৯৭ সাল থেকে চীনের সাথে যুক্ত হওয়ার পর এই প্রথমবারের মত কোন রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা হলো।
সাবেক ব্রিটিশ উপনিবেশটির আইন সম্বলিত সংবিধান মোতাবেক, দক্ষিণ চীনের আধা সায়ত্ত্বশাসিত অঞ্চলে সব ধরণের স্বাধীনতা বজায় থাকবে। কিন্তু চীন সবসময় হংকংয়ের ওপর প্রভাব বিস্তার করে আসছে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে হংকং ন্যাশনালিস্ট পার্টিকে (এইচকেএনপি) নিষিদ্ধের দাবি করে হংকং পুলিশ। দলটি চীন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে স্বাধীন ভিয়েতনাম প্রতিষ্ঠার পক্ষে রাজনীতি করে। দলটিতে সক্রিয় সদস্যের সংখ্যা মাত্র ১০জন। কিন্তু সংগঠনের সদস্যদের স্বাধীনতার জোরালো দাবির কারণে দলটি খুবই প্রসিদ্ধি লাভ করে।
এদিকে এ নিষিদ্ধ ঘোষণার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকারসহ ব্রিটিশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। মত স্বাধীনতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান জানানো হয়।
তবে হংকং কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ সরকার এবং জাতীয় নিরাপত্তার কারণে কোন সংগঠন নিষিদ্ধের আইন মোতাবেকই ন্যাশনাল পার্টিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
হংকংয়ের সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত নিরাপত্তা মন্ত্রী এক বিবৃতিতে জানান হয়, আমি হংকং ন্যাশনাল পার্টির চলমান ও ভবিষ্যত কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করছি’। তবে দলটির নেতা অ্যান্ডি চান তাৎক্ষনিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ‘এক রাষ্ট্র দুই নীতি’ এই মূলনীতির ভিত্তিতে হংকংকে চীনের কাছে হস্তান্তর করে ব্রিটেন। মূলনীতির ভিত্তিতে পঞ্চাশ বছরের জন্য সব ধরণের ব্যক্তি স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়। সাম্প্রতি বেইজিংয়ের কাছে রাজনৈতিক মূলনীতি সংশোধন করতে না পারা এবং গণতন্ত্র ব্যর্থ হওয়ায় ভিন্ন ধরণের মুভমেন্ট তৈরী হয়। এছাড়া গণমাধ্যম শিক্ষাখাতে বেইজিংয়ের ব্যাপক নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। সূত্র: এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :