জিয়াউদ্দিন রাজু: জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়ার নামে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে, বিএনপি নিজেরাই এখন খালেদা জিয়াকে মাইনাস করার জন্য মাঠে নেমেছে বলে দাবি করেছেন ১৪ দলের মুখপাত্র ও স্বাস্থমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি কমিউনিটি সেন্টারে ১৪ দল আয়োজিত সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক সভায় তিনি একথা বলেন।
যুক্তফ্রন্টের জোটকে কাগুজে বাঘের সাথে তুলনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বিএনপিকে এখন অন্য নেতৃত্ব ভাড়া করতে হচ্ছে। অন্য এক নেতাকে এনে তারাই তাদের দুই নেতাকে মাইনাস করার জন্য নিজেরাই মাঠে নেমেছে।
১৪ দলের মুখপাত্র বলেন, আমরা ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে চিন্তা করছি না। তবে আমাদের দুশ্চিন্তা হলো, ব্যর্থ এবং হতাশ রাজনীতিবিদরা কেন মাঠে নেমেছে? নির্বাচন বানচাল, দূর্নীতিবাজদেরর রক্ষা ও ডুবন্ত বিএনপিকে উদ্ধার করতে ১/১১’র কুশিলভরা এক শ্রেণির বর্ণচোর রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে ঐক্যের ডাক দিয়েছে। যুদ্ধাপরাধী, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীরা গণতন্ত্রের নামে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
মরদেহ নিয়ে মাঠে নামার চেষ্টা করবেন না। ঐক্যের নামে ভিন্ন কোনো ফন্দি করলে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। এগুলো প্রতিহত করবে ১৪ দল। এ উপলক্ষে দলটি আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে ১৪ দলের পক্ষে এক সমাবেশ করার কর্মসূচিও ঘোষণা করেন ক্ষমতাসীন জোটের মুখপাত্র নাসিম।
ড. কামাল হোসেনের প্রতি ইঙ্গিত করে নাসিম বলেন, যিনি আইনের কথা বলেন। যিনি আইনের শাসনের কথা বলেন। তিনি আবার সেই দুর্নীতিবাজ ও ২১ আগস্টের হত্যাকারীদের প্রশ্রয়দাতাদের এই দেশের রাজনীতিতে প্রতিষ্ঠিত করতে চান।
নির্বাচনকে বানচাল করতেই এ ষড়যন্ত্র অভিযোগ করে স্বাস্থমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন করতে চাই। নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ী অনুষ্ঠিত হবে। সংবিধানকে উপেক্ষা করার ক্ষমতা ১৪দল, এমনকি শেখ হাসিনারও নেই। তাহলে তারা কেন আবারো সেই পুরনো কাসুন্দি ঘাঁটছে। যখন নির্বাচন কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তখন নির্বাচনকে সামনে রেখে নতুন নতুন ইস্যু তৈরি করে শুধু নির্বাচনকে বিলম্বিত করাই নয়, নির্বাচন নস্যাৎ করার জন্য এরা চক্রান্তে নেমেছে।
সাবেক প্রধান বিচারপতির এস কে সিনহা লেখা একটা বই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি প্রেস ব্রিফিং করে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে চলে গেছেন। ওনার মনটাই আসলে ব্রকেন হয়ে গেছে। যার কারণে উনি এই বইটা লিখেছেন। একটা জুডিশিয়াল ক্যু’র মাধ্যমে কি করতে চেয়ে ছিলেন সেটা সবাই জানে। একজন হতাশ ব্যক্তি হিসেবে উনি বই লিখেছেন।
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য মারুফা আক্তার পপি, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আকতার, জাসদ আরেক একাংশের শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পাটির পলিট ব্যুরো সদস্য আনিসুর রহমান মল্লিক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক অসিত বরণ রায়, গণতন্ত্রী পাট্রির শাহাদাত হোসেন. তরিকত ফেডারেশনের নজিবুর বশর মাইজভান্ডারী, গণআজাদী লীগের এসকে শিকদার, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদসহ অন্যান্য শরিক জোটের নেতারা।
আপনার মতামত লিখুন :