সোহেল রহমান : সরকারি ঋণ সুবিধায় গাড়ি কেনার পর কোন কর্মকর্তা মারা গেলে তার ব্যাংক ঋণ ও সুদ মওকুফের প্রস্তাব করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে এ-সংক্রান্ত গেজেটের একটি খসড়া অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। গাড়ি কেনার ঋণ গ্রহণের পর প্রাথমিক গণশিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক রণজিৎ চন্দ্র সম্প্রতি প্রয়াত হওয়ার প্রেক্ষিতে সরকার এ উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানা গেছে।
খসড়া গেজেটে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ে কর্মরত অবস্থায় ইতোপূর্বে যেসব কর্মকর্তা ঋণ পরিশোধ না করে মারা গেছেন, তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাংক ঋণ ও সুদ মওকুফের জন্য আবেদন করতে হবে। অর্থ বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটি বরাবর এ আবেদন করতে হবে। পরে ওই কমিটি তাদের ব্যাংক ঋণ ও সুদ মওকুফের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। প্রয়তি রণজিৎ চন্দ্রের ব্যাংক ঋণ ও সুদ মওকুফের প্রস্তাবটি ইতোমধ্যেই অর্থ বিভাগের কমিটিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে সুদাসলে তার মোট দেনা দাঁড়িয়েছে ২৪ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩০ টাকা।
উল্লেখ্য, গত বছর জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রাধিকারপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা এককালীন সুদমুক্ত ৩০ লাখ টাকা ঋণ পাবেন। পরবর্তীতে ২০১৮ সালে আরেকটি গেজেটে বলা হয়, সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব ও সিনিয়র সচিব ছাড়াও বিসিএস (ইকনোমিক) ক্যাডারের যুগ্ম প্রধান বা এর উপরের কর্মকর্তা এবং লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম প্রধান (ড্রাফটিং) থেকে এর উপরের কর্মকর্তারা গাড়ি কেনার জন্য ঋণ সুবিধা পাবেন। তবে এসব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা এ সুবিধা পাবেন না। ওই গেজেটে আরও বলা হয়, সরকারের অনুমতি ছাড়া ঋণের টাকায় কেনা গাড়ি কেউ বিক্রি করতে পারবেন না। এছাড়া ঠিকমতো কিস্তি পরিশোধ না করলে আসলের সাথে ১৫ শতাংশ হারে সুদ যোগ হবে। কর্মকর্তারা সম-পরিমাণ ১২০টি কিস্তিতে সুদ বিহীন এ ঋণ পরিশোধ করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :