শিরোনাম
◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে ◈ সেনা গোয়েন্দাসংস্থার বিরুদ্ধে ৬ পাক বিচারপতির ভয় দেখানোর অভিযোগ ◈ নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা সাদা পতাকা উড়াচ্ছিল, তাদের বূলডোজার দিয়ে মাটি চাপা দিল ইসরায়েলী সেনারা

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৪:১৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ঢাকা-৫ বিএনপি-আ’লীগে একক প্রার্থী জাপার

মো. ইউসুফ আলী বাচ্চুঃ একাদশ সংসদ নির্বাচনে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা ও কদমতলী থানার আংশিক এলাকা নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসন। বাংলাদেশের সব নির্বাচনী এলাকার মত এখানে বিরাজ করছে নির্বাচনী আমেজ। শেষ পর্যন্ত দলের মনোনয়ন নিয়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বর্তমান সাংসদ হাবিবুর রহমান মোল্লা এবং বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সাবেক সাংসদ সালাহউদ্দিন আহমেদ নির্বাচনী মাঠে নামবেন এলাকার সাধারন মানুষ এমনই মনে করেন।

তবে আওয়ামী লীগ বিএনপির ছাড়াও জাতীয় পার্টি, জাসদ, এলডিপিসহ বিভিন্ন দলের প্রায় ১ডজন আগ্রহী রয়েছে নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত । প্রত্যেক প্রার্থী তার নিজেদের কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারনা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির ডেমরা থানা, যাত্রাবাড়ী থানার ৪৮, ৪৯ ও ৫০ নম্বর ওয়ার্ড, মাতুয়াইল ইউনিয়ন, সারুলিয়া ও দনিয়া ইউনিয়ন এবং কদমতলী থানার একাংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-৫ আসন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে হাবিবুর রহমান মোল্লা এ আসনে বিজয়ী হন। এর আগে নবম ও সপ্তম সংসদ নির্বাচনেও বিজয়ী হয়েছিলেন হাবিবুর রহমান মোল্লা। আর পঞ্চম ও ৬ষ্ঠ এবং অষ্টম সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছিলেন বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ। আসন্ন নির্বাচনেও এই দুই নেতাই আছেন আলোচনার শীর্ষে।

এই আসনে ৯৬, ২০০৮ এবং ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন হাবিবুর রহমান মোল্লা। আওয়ামী লীগের এই নেতা বার্ধক্যে উপনীত হওয়ায় এ আসনে দলের একাধিক নেতা মনোনয়নপ্রত্যাশী। এ তালিকায় আছেন যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম মাসুদ, ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল। দলীয় সিগন্যাল পেয়ে নির্বাচনে লড়ার জোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন মহাজোটের অন্যতম শরিক জাতীয় পার্টির প্রার্থী মীর আব্দুস সবুর আসুদ। মাতুয়াইলের (স্থায়ী বাসিন্দা) সন্তান হিসেবে এবার তিনিই মনোনয়ন পাবেন। এই আশায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ প্রতিটি পাড়া-মহল্লা ও ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নিয়মিত গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দল থেকেও ইতিমধ্যে জাপার প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষনা করেছে জাতীয় পার্টি ।

ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়তে চান বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁদের মধ্যে আছেন-সাবেক সংসদ সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ঢাকা মহানগর বিএনপির নেতা নবিউল্লাহ নবী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা বার্ধক্যজনিত কারণে এখন আর আগের মতো সক্রিয় নেই। তাঁর ছেলে মশিউর রহমান মোল্লা সজল বাবার রাজনীতির উত্তরাধিকার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সজল বর্তমানে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা হাবিবুর রহমান মোল্লাকে অবসরে পাঠাতে চাইলে ছেলে সজল দলের মনোনয়ন চাইবেন। তবে তাকে প্রার্থী হিসেবে মানবে না যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না ও অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। হাবিবুর রহমান মোল্লা বলেন, আমি কখনো আমার দায়িত্বে অবহেলা করিনি। এলাকার যথেষ্ট উন্নয়ন করেছি। আমি এখনো নিজেকে শারীরিকভাবে সমর্থ মনে করি। আগামী নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ইচ্ছা ও প্রস্তুতি দুটিই আছে। তবে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে দলের সিদ্ধান্তই বড় কথা।

যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না বলেন, আমি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রায় দুই যুগ থানা আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছি। দলের নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখে পাশে আছি। ফলে তারা আমাকে নির্বাচনের চাপ দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা শেখ হাসিনার দল করি। তিনি যাকে মনোনয়ন দিবেন তার পক্ষেই কাজ করবো। তবে দলের প্রতি একটা বিষয়ে দাবি থাকবে তা হল, তৃণমূলের মতামত অনুযায়ী যেন মনোনয়ন দেয়া হয়।
ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান মোল্লা সজল বলেন, যাত্রাবাড়ী ও ডেমরা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের চাওয়া হলো আমার বাবা আবার নির্বাচন করুক। তবে যদি নেত্রী (শেখ হাসিনা) মনে করেন আমার বাবাকে অবসর দেবেন তবে আমি মনোনয়ন চাইব। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আমাদের পরিবারের সদস্যদের এমনটাই চাওয়া।

বিএনপির কেন্দ্রীয় বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক সালাহউদ্দিন আহমেদ আগামী নির্বাচনে লড়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করার পাশাপাশি মাঠের রাজনীতিতে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে দলে আছেন তিনি। নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে ঢাকায় মহানগর বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তিনি সক্রিয় ছিলেন খালেদা জিয়ার পক্ষে।

অভিযোগ আছে, ২০০৩ সালে দলের কিছু নেতার ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে সাময়িকভাবে কিছুটা বেকায়দায় পড়েছিলেন তিনি। এর পরও ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাঁকে মনোনয়ন দেন বিএনপি চেয়ারপারসন।

জয়নাল আবেদীন রতন বলেন, দল মনোনয়ন দিলে অবশ্যই আমি নির্বাচন করব এবং আসনটি পুনরুদ্ধারে সক্ষম হব।
নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার লক্ষ্যে গত তিন-চার বছর ধরে মাঠ গোছানোর কাজ করছেন শিক্ষিত ও তৃনমুল থেকে উঠে আসা মেধাবী সংগঠক ,সৎ রাজনীতিবিদ জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মীর আব্দুস সবুর আসুদ।

কর্মীসভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নিজের অবস্থান পোক্ত করেছেন আসুদ। গত নির্বাচনেও তিনি জাপার প্রার্থী হয়েছিলেন। পরে আওয়ামী লীগের সাথে আসন সমঝোতার কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এবার এলাকাবাসীর দোয়া চেয়ে যাত্রাবাড়ী, ডেমরার বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য ব্যানার, ফেস্টুন টানিয়েছেন আসুদ।
মীর আব্দুস সবুর আসুদ বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় এলাকার নানা সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত।

আমি গণসংযোগের মধ্য দিয়ে এলাকা চষে বেড়াচ্ছি। দলের পক্ষ থেকেও আমাকে নির্বাচনের প্রস্তুতির কাজ চালাতে বলা হয়েছে। আমি দলের মনোনয়ন পাব।

তিনি বলেন, আমি নিয়মিত গণসংযোগ করছি। এই আসন থেকে নির্বাচিত কোনো সংসদ সদস্যই এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারেননি। সবাই নিজের আখের গোছানোয় মনোযোগ দিয়েছেন। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে এলাকার জলাবদ্ধতা নিরসন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মাদক-দুর্নীতি বন্ধে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে চাই

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়