শিরোনাম
◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল

প্রকাশিত : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:১০ সকাল
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:১০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ব্যস্ত সড়কেও হকারদের পসরা

ডেস্ক রিপোর্ট: মতিঝিল বাণিজ্যিক এলাকায় ফুটপাত ছাড়িয়ে সড়কের ওপরও হকার বসে গেছে। তা ছাড়া সড়কের দুই পাশে যথেচ্ছভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে। এতে যানজট বাড়ছে।

গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে দীর্ঘ সময় এলাকা ঘুরে এ অবস্থা দেখা যায়। গত বছরের জানুয়ারিতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ঘোষণা দিয়েছিল যে গুলিস্তান, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ, বায়তুল মোকাররম এবং মতিঝিলে বিকেল পাঁচটার আগে হকার বসবে না। কিন্তু বিষয়টা মানা দূরে থাক, বেশির ভাগ এলাকায় সকাল থেকেই হকাররা বসে যাচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, হকার উচ্ছেদ সম্ভব, যখন আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার সার্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে হকারদের যেখানে–সেখানে বসা বন্ধ করা যাবে। কয়েক দিন আগের অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের (উড়ালসড়ক) নিচে ও পাশে টানা তিন দিন অভিযান চালিয়ে হকার উচ্ছেদ করা হয়েছিল। কিন্তু অভিযান শেষ হতে না হতেই তারা আবার বসে যায়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে আমেরিকান এক্সপ্রেস ব্যাংক পর্যন্ত ফুটপাতজুড়ে হকার বসেছে। ফুটপাতে সাজানো হয়েছে মোবাইল ফোনের চার্জার, কভার, ডেটা কেব্‌লসহ নানা সরঞ্জাম। বসেছে জামাকাপড়, চামড়াসামগ্রীর দোকানও। আইএফআইসি ব্যাংক শাখার সামনে, সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পূর্ব দিকের সড়কে সাজানো হয়েছে বেশ কয়েকটি জুতার দোকান। সড়কে এভাবে বসার কারণ জানতে চাইলে জুতাদোকানি আবদুল জব্বারসহ কয়েকজন জানান, তাঁদের বসার জায়গা নেই। বিকেলের আগে কেন বসেছেন জানতে চাইলে তাঁরা কোনো জবাব দেননি। ফুটপাতে পণ্যের পসরা ছাড়াও এসব এলাকায় সড়কের পাশ দিয়ে এক বা কোথাও কোথাও দুই সারিতে গাড়ি পার্ক করা হয়েছে।

অন্যদিকে জীবন বীমা ভবন এলাকা থেকে মধুমিতা সিনেমা হল পর্যন্ত বিভিন্ন অফিস, দোকান, হোটেলের সামনে যথেচ্ছভাবে গাড়ি রাখা হয়েছে। সামনে ভ্যানগাড়িতে ফল, খাবার নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে কিছু হকার। কেউ কেউ টুল পেতেও নিয়েছে। হীরাঝিল হোটেলের দক্ষিণ দিকে সড়কের ওপর দুটি ভ্যান গাড়ি। কাচের সামগ্রীর পসরা সাজিয়ে বসেছেন দুই ভাই, তবে নাম জানাতে চাননি তাঁরা।

সোনালী ব্যাংক থেকে পশ্চিম দিকে শরীফ ম্যানশনের সামনে পর্যন্ত ফুটপাত ও সড়কে দোকানপাট। বাংলার বাণীর সামনে থেকে শুরু করে দৈনিক বাংলার মোড় পর্যন্ত সর্বত্রই হকার আর হকার। তবে সিটি সেন্টারের বিপরীত দিকে গভীর নর্দমা নির্মাণের জন্য সড়কটি এবড়োখেবড়ো অবস্থায় রয়েছে। তাই সেখানে কিছুটা ফাঁকা। সিটি সেন্টারের পূর্ব-পশ্চিমে সড়কের বেশির ভাগ অংশেই হকারদের ভিড়। গাড়িও রাখা হয়েছে।

শাপলা চত্বরের পশ্চিম দিকে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ট্রাফিক পুলিশ ব্যস্ত চলাচলকারী বিভিন্ন যানবাহনের কাগজপত্র পরীক্ষায়। হেলমেট আছে কি না তাও দেখা হচ্ছে। সঙ্গে রয়েছে স্কাউটস ও গার্ল গাইডস। হকারদের বিষয়ে কথা বলতে চাইলে কর্তব্যরত একজন ট্রাফিক কর্মকর্তা বলেন, ‘আগে ট্রাফিক আইন ভঙ্গকারী গাড়ি ও মোটরসাইকেলের ওপর ব্যবস্থা নিতে দিন। তা ছাড়া হকার নিয়ন্ত্রণের মূল দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের।’ সূত্র: প্রথম আলো

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়