আদম মালেক : চাঁদা না দেয়ায় সন্ত্রাসীরা শ্বশুরকে গাছে বেঁধে তার সামনেই পুত্রবধূকে নগ্ন করে চলছে শারীরিক নির্যাতন। শেষে যৌনাঙ্গে মরিচের গুঁড়া ঢুকিয়ে চালানো হয় নারকীয় অত্যাচার। এমনই একটি ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়াতে। আর এমন ভয়ঙ্কর ঘটনা দেকে শিউরে উঠেছেন অনেকেই।
আনন্দ বাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, করিমগঞ্জের আসামে মিজোরাম সীমানার আদিবাসী অধ্যুষিত মাগুরা গ্রামের নির্যাতিতা ওই মহিলা স্থানীয় থানায় অভিযোগপত্র দায়ের করেন। অভিযোগে তিনি লিখেছেন, ’১০ সেপ্টেম্বর সকালে আচমকাই দরজা ভেঙে বাড়িতে ঢুকে পড়ে ৬-৭ জন যুবক। দাবি করে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাওয়া ৮৫ হাজার টাকা তাঁদের দিয়ে দিতে হবে। আমি অস্বীকার করতেই বেআইনি মদ বিক্রির অভিযোগ তুলে মারধর শুরু করে। তার মধ্যেই বাড়িতে জড়ো হন গ্রামবাসীরাও। আমার শ্বশুরকে গাছে বেঁধে ফেলে ওরা। তাঁর সামনেই আমাকে নগ্ন করে চলে মারধর। শেষে আমার যৌনাঙ্গে লঙ্কার গুঁড়ো ঢুকিয়ে দেয়। টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর ওই অবস্থাতেই আমাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় সবাই।’
ভারতের আসামের এই ভয়ঙ্কর ঘটনা ১০ সেপ্টেম্বর ঘটলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ার পর সম্প্রতি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আসে। নির্যাতিতা করিমগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে অভিযোগ দায়ের করার পর ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আসামের পুলিশের ডিজি কুলধর সইকিয়া বলেন, ‘পুলিশে অভিযোগ জানালে ভয়ঙ্কর পরিণতি হবে বলে মহিলাকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। আমরা ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকি অভিযুক্তদেরও শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে।’
আপনার মতামত লিখুন :