জিয়াউদ্দিন রাজু : যশোর-৪ আসনের এমপি রনজিৎ কুমার রায়ের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা।
রোববার ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনে সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন দহাখোলা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোতালেব তরফদার।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাঘারপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান সরদার, সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী, যশোর জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য আজগর আলী, ১ নং ইউনিয়নের চেয়রম্যান দিল পাটুয়ারী, বাসুয়ারি ইউপি চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরদার, জামদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল ইসলাম টুটুল, বন্দোবিলা ইউপি চেয়ারম্যান সবদুল হোসেন খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০০৮ সালের আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভের পর থেকে রনজিত কুমার টাকার নেশায় মগ্ন হয়ে পড়েন। দলীয় কমিটি এবং বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে অন্তত দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে অযোগ্য অদক্ষ লোক বসিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।
মোতালেব তরফদার বলেন, টাকার বিনিময়ে জামাত বিএনপি দলীয় লোক নিয়োগ দেয়া তার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২০০৮ সালে জাতীয় সংসদ নিরবাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনী হলফনামায় যেসব সম্পত্তির হিসাব দিয়েছিলেন বর্তমানে তার কয়েকগুন বেশী সম্পদ রয়েছে তার। তার নামে যশোর রেল রোডে ৫ তলা একটি ও ৩ তলা একটি, যশোর লোহাপট্টিতে ১ টি, যশোর নিউ মার্কেটে ২ টি, বাঘারপাড়া উপজেলাতে ২য় তলা ১ টি, খাজুরা বাজারে ৪ তলা ১ টি, ঢাকায় মিরপুর দারুস সালাম রোডে ২ টি বাড়ি, ছেলেদের নামে-ভারতে সল্ট লেকে ও বাড়াসাতে ২ টি বাড়ি, বাঘারপাড়া ও চৌগাছার উপজেলায় ২২৫ একর জমি ক্রয় করেছেন। নিজে পাজেরো গাড়িতে চড়েন যার দাম ১ কোটি টাকা, দুই ছেলের ২টি গাড়ির মূল্য ৬০ লাখ টাকা, স্ত্রী চড়েন ৩০ লাখ টাকা মুল্যের গাড়িতে। এছাড়াও নামে বেনামে আরও অন্তুত কয়েক কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে রনজিত কুমারের।
আপনার মতামত লিখুন :