মনজুর আহমেদ অনিক,নারায়ণগঞ্জঃ নারায়ণগঞ্জে আলোচিত স্কুল ছাত্রী মোনালিসার ধর্ষণ ও হত্যা মামলার একমাত্র আসামী আবু সাঈদকে দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। রোববার সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করেছে। ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মোনালিসার ছোট ভাই শাহেদ জানায়, ঘটনার দিন বিকেলে পানি পান করার কথা বলে ঘরে ঢুকে একই এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে সাঈদ। পরে কৌশলে শাহেদকে খেলতে বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যায় শাহেদ বাসায় ফিরে দেখে মোনালিসা ফ্যানের সাথে ঝুলছে।
ফতুল্লা মডেল থানার (ওসি) শাহ্ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের জানান, ঘটনার পর পরই মোনালিসা ধর্ষণ ও হত্যা মামলার আসামী আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে গিয়েছে। এ বছরের এপ্রিল মাসে আসামী আবু সাঈদ দুবাইতে গ্রেফতার করা হয়। দুবাইতে আইনগত বিভিন্ন প্রক্রিয়া সমাধানের পর আজ রোববার তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে, বিচারের মুখোমুখি করা হবে।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মোনালিসাদের পাশের বাড়িতেই থাকে সাঈদ। কয়েকবছর আগে মোনালিসা মুনাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল সাঈদের পরিবার। কিন্তু মেয়ের বয়স অল্প হওয়ায় সাঈদের প্রস্তাবে রাজি হননি মুনার বাবা মা। পরে সাঈদ পাশের মহল্লার ইভা নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে। পরে ২ ফেব্রুয়ারীর একা বাড়ি পেয়ে স্কুল ছাত্রী মোনালিসাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে। পরে ব্যাপারটি আত্মহত্যা হিসেবে চালিয়ে দেয়ার জন্য লাশ ফ্যানের সাথে ঝুঁলিয়ে দেয়া হয়।
ঘটনার দিনই আবু সাঈদ দুবাই পালিয়ে যায় বলে নিশ্চিত করেছিলো তার পরিবার। বিয়ে করার জন্য সাঈদ ঘটনার তিন মাস আগে দেশে আসেন। অগ্রিম রিটার্ন টিকেট থাকায় পালিয়ে যেতে কোনো বেগ পেতে হয়নি।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যায় পশ্চিম দেওভোগ বাংলা বাজার বড় আমবাগান এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে স্কুল ছাত্রী মোনালিসা (১২)’র ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সে উক্ত এলাকার শাহিন বেপারীর মেয়ে এবং কাশিপুর উজির আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছিল।
ঘটনার দিন মোনালিসা ও তার ছোট ভাই সাহেদকে বাড়িতে রেখে শাহিন বেপারী তার স্ত্রীকে নিয়ে নরসিংদী শ্বশুড় বাড়িতে বেড়াতে যান। তারা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মোনালিসার মরদেহ উদ্ধারের কথা জানতে পারেন ।
আপনার মতামত লিখুন :