হ্যাপি আক্তার : বুদ্ধিজীবী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন, বিগত কয়েক বছর যাবত মানুষ কথা বলতে পারছে না। প্রতিটি সমালোচনা যদি সঠিক হয় তারপরেও সমালোচনা করা যায় না। মানুষকে সমালোচনা, কথা বলতে এবং মিটিং করতে দিতে হবে। এই সরকারের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা হলো মানুষকে কথা বলতে না দেওয়া। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট করে একটি অপ্রয়োজনীয় কাজ করেছেন এই সরকার।
ঐক্যের রাজনীতি বিষয় নিয়ে সময় টেলিভিশনের টক শো সম্পাদকীয়তে এক প্রশ্নের জবাবে আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, এই সরকারের সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গণতন্ত্রের আগে উন্নয়ন। জনগণ দেখছেন দেশের উন্নয়ন হয়েছে বর্তমান সরকারের আমলে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আজ সেক্রেটারি সাহেবদের বেতন বেড়েছে, কিছু ধনী লোকের সংখ্যা বেড়েছে। এ্যাটোর্নি জেনারেল অফিসে ব্যপক উন্নয়ন হয়েছে। ১৯৭২ সালে এ্যাটোর্নি জেনারেল অফিসে লোক সংখ্যা ছিলো তিন জন। এখন তা থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২শ জন। এই দেশের বর্তমান উন্নয়ন।
তিনি বলেন, একটি ফ্যাসিসবাদী সরকারের বিরুদ্ধে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানানো হয়েছে বিএনপিসহ ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলোকে। তবে এই আন্দোলন শুধু সরকার পতনের আন্দোলন নয়। সুশাসন, দুর্নীতিমুক্ত এবং গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতামূলক শান্তির বাংলাদেশ গড়ার আশায় এই আন্দোলন। এই ঐক্য জোটের প্রথম পদক্ষেপ হলো সুষ্ঠু নির্বাচন হতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :