শিরোনাম
◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ জিবুতি উপকূলে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবিতে ৩৩ জনের মৃত্যু ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৩ রাত
আপডেট : ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০২:৩৩ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে নেই তারা

ঢাকাটাইমস রিপোর্ট: জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশ বিএনপির সঙ্গে কামাল হোসেন ও বি. চৌধুরীর একত্রিত হওয়ার আনুষ্ঠানিক মিলন দিবস ছিল আজ। বিএনপিসহ ২০ দলের জোটের শরিক দলগুলোকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু সবাইকে উপস্থত হতে দেখা যায়নি।

ঊলা হয়েছিল, জামায়াত ছাড়া সবাইকে বলা হয়েছে। কিন্তু একাত্তরের চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধী হিসাবে মাওলানা ইসহাকের দলের মহাসচিব কাদের এর উপস্থিতি কামাল হোসেনের ইমেজকে কিছুটা হলেও কমিয়ে দিয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন হেফাজতের এক অংশের নেতা নুর হোসাইন কাসেমী।

এদিকে দেশের জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের রাজনীতিবিদ কর্নেল (অব.) অলি আহমেদকে জাতীয় ঐক্যের সভায় দেখা যায়নি। তার দলের কোনো প্রতিনিধিকেও পাঠানো হয়নি।

একই পথ অনুসরণ করেছে মশিউর রহমান যাদু মিয়ার নাতি জেবেল রহমান গাণির বাংলাদেশ ন্যাপ। যাদু মিয়া একদিন নিজের দল বিলুপ্ত করে জিয়ার বিএনপি গড়ার সেনাপতি ছিলেন।
শনিবার অনুষ্ঠিত সমাবেশে মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের কল্যাণ পার্টিকেও দেখা যায়নি। সভায় যায়নি এমন দলের মধ্যে রয়েছে ন্যাশন্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি, যার নেতৃত্বে আছেন খন্দকার গোলাম মরতুজা। এছাড়া মুফতি ওয়াক্কাসের নেতৃত্বাধীন জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং মুসলিম লীগের কেউ সমাবেশে যোগ দেননি।

সূত্রমতে কর্নেল অলির নেতৃত্বে এলডিপি, ন্যাপ, কল্যাণ পার্টি, এনডিপিসহ আরো কয়েকটি দলের বোঝাপড়া চমৎকার পর্যায়ে রয়েছে। সম্প্রতি বিএনপির ভোটহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আত্মসমর্পণ করাকে তারা ইতিবাচক চোখে দেখছে না। অথচ জোটের দুর্দিনে তারা কখনো বিএনপিকে ছেড়ে চলে যায়নি, আপস করেনি কারোর সঙ্গে।

অন্যদিকে খোদ বিএনপিতেও ড. কামাল হোসেন এবং সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীর এমন জোট নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। বিএনপির মধ্যেও উত্তপ্ত পরিস্থিতি বইছে। যেকোনো মুহূর্তে তা সামনে চলে আসতে পারে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের এক নেতা এই বলেন, ‘যতই কামাল হোসেন তারেক রহমানকে গালমন্দ করুক কিংবা জামায়াত বর্জনের কথা বলুন, বাস্তবতা তেমন করে নয়। এই জোটের মূল লক্ষ্য, দেশে অগণতান্ত্রিক শক্তিকে ক্ষমতায় বসানো। সেই কারণে কামাল হোসেন কিংবা মাহমুদুর রহমান মান্নাদের কোনো সংসদীয় আসন না থেকেও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বলে চালিয়ে গিয়ে শান্তিপুর্ন হতে তারা একসময় নাশকতাকে পরিচিত করাবেন।’

কর্নেল অলিসহ জোটের নেতারা এই ঐক্যে না যাওয়ায় নতুন করে আলোচনা শুরু হলো। ধারণা করা হচ্ছে, রাজনৈতিক আরও কিছু ঘটনা আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হতে পারে। বিএনপির বড় অংশ ও কর্নেল অলি আবার আলোচনায় চলে আসতে পারেন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়