দেবদুলাল মুন্না : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বয়স যখন মাত্র আটাশ তথন থেকেই তাকে অনুসরণ শুরু করে পশ্চিম পাকিস্তানের গোয়েন্দারা।১৯৪৮ সালের ১৩ জানুয়ারি প্রথম তার বিরুদ্ধে পাকিস্তানের গোয়েন্দা প্রতিবেদন তৈরি শুরু হয়। ১৯৪৮ সালের ৩ মার্চ তৈরি করা হয় দ্বিতীয় প্রতিবেদন। শুধু তাই নয় ১৯৪৮ সাল থেকে ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে গোয়েন্দা প্রতিবেদন দেওয়া হয় ৩২১ টি। তথন শেখ মুজিবের বয়স ২৮। প্রায় প্রতিদিন একটি করে তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হতো। তাকে রাখা হতো সার্বক্ষনিক গোয়েন্দা নজরদারিতে। তিনি যেদিকে যেখানে যেতেন তার পিছু নিত পশ্চিম পাকিস্তানী গোয়েন্দারা। শেখ মুজিব কখনো টের পেতেন কখনো টের পেতেন না। এসব প্রতিবেদনে তার বিরুদ্ধে পশ্চিম পকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন এবং তাকে হুমকিস্বরুপ হিসাবে উল্লেখ করা হয়। এসব তথ্য পাওয়া গেছে সিক্রেট ডকুমেন্টস অফ ইনটিলিজেন্স ব্রাঞ্চ অন ফাদার অফ দ্য নেশন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বইতে। এ বই সম্প্রতি প্রকাশ করেছে হাক্কানী পাবলিশার্স। ১ম খণ্ড বেরিয়েছে। বের হবে ১৪ খণ্ড। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তত্ত্বাবধানে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা শামসুদ্দীন ও ও বর্তমান পুলিশের মহা পরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি ও তাদের সহযোগী দল এ কাজটি সম্পন্ন করেছেন। গোয়েন্দা প্রতিবেদনগুলোতে শেখ মুজিবকে তখনই প্রেফতার করার সুপারিশও করা হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব তার বই অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচায় গোয়েন্দারা যে তাকে অনুসরণ করত সেসব কথা লেখেছেন।পুলিশ কর্মকর্তা ও বইয়ের গবেষক শামসুদ্দীন বলেন, ১৪ খণ্ডের এ বইগুলোতে শেখ মুজিবর রহমানকে যে পশ্চিম পাকিস্তানী গোয়েন্দারা সার্বক্ষনিক নজরদারি করত সেসব নিয়ে অনেক এক্সক্লুসিভ তথ্যও রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :