মো. সাদ্দাম হোসেন, ঠাকুরগাঁও : মালয়েশিয়ার প্রবাসী হয়ে কর্মরত আছেন এমন দু’জনের বিরূদ্ধে পুলিশ নাশকতার পরিকল্পনা মামলা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রবাসীর স্বজনরা। এ দু’জন প্রবাসি হলেন উপজেলার নুনতোর গ্রামের আবু শাহীন ও উত্তরগাঁও গ্রামের কাজিমুল ইসলাম কাজিম।
সেপ্টেম্বর মাসের ১,২,৪ তারিখে পৃথক তিনটি নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে সে আইনে ঠাকুরগাঁয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় বিএনপি জামায়াতের প্রায় দেড় শতাধিক নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ ও দুই শতাধিকের উপর অজ্ঞাত আসামি করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানা পুলিশের এস আই তাজরুল ইসলাম, আহসান হাবীব ও তারেকুল তৌফিক বাদী হয়ে মামলা করেন ।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা গোপনে বৈঠক করে উপজেলার বাসষ্ট্যান্ড বিদ্যুৎ বিভাগসহ উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে নাশকতার পরিকল্পনা করছিলো। পুলিশ দেখে আসামি পালিয়েছেন। সে ঘটনার মামলায় নেকমরদ এলাকার শিবির নেতা জুয়েল গাজিরহাট গ্রামের সামশুল ও রুস্তমকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ।
তবে আটককৃত আসামিদের পরিবারের দাববি পুলিশ অহেতুক বাসা থেকে ধরে নিয়ে নাশকতার মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। অথচ পুলিশ এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নাশকতার পরিকল্পনা করা অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করা হয়, বাকী আসামিরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়েছেন।
এদিকে ১ তারিখের মামলার এজাহারে উল্লেখিত ৪১ নং আসামি ছাত্রদলের রানীশংকৈল ডিগ্রী কলেজ শাখার সভাপতি উত্তরগাও গ্রামের নয়া মিয়ার ছেলে কাজিমুল ইসলাম কাজিম গত ২৫ আগষ্ট মালয়েশিয়ায় পাড়ি দিয়েছেন কর্মের সন্ধানে। ৪ তারিখের মামলার এজাহারে উল্লেখিত ২৬ নং আসামী নুনতোর গ্রামের হাজী জোহাক আলীর ছেলে ওর্য়াড বিএনপির নেতা আবু শাহীন চলতি বছরের ১৫ রমজান কর্মের সন্ধানে পাড়ি দিয়েছেন মালয়েশিয়ায়। অথচ এই দুই প্রবাসীর বিরূদ্ধে পুলিশ নাশকতার পরিকল্পনার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক করার অপরাধের মামলায় আসামি করেছে পুলিশ। যদিও এ দু’জনের পরিবারের দাবী মামলায় উল্লেখিত তারিখের বেশ আগেই তারা বিদেশে চলে গেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নেতারা শুরু থেকে বলছেন, এজাহারে উল্লেখিত নাশকতার উদ্যেশ্যে গোপন বৈঠকে উপজেলায় কখনো হয়নি বা কখনো কল্পনাও করিনি বর্তমান সরকারের দুই মেয়াদে কেন্দ্রীয় আদেশ অনুযায়ী বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রাম করেছি তবে এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটনোর কোন নজির নেই। কাজিমের বাবা নয়া মিয়া ও আবু শাহীনের ভাই ফিরোজ এ মিথ্যা মামলা প্রত্যহারের দাবি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান বলেন,এগুলো যে পুলিশের সাজানো মিথ্যা মামলা তার বড় প্রমাণ এটি। অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান শুক্রবার সন্ধ্যায় টেলিফোনে বলেন, এ মামলাগুলো তদন্তাধীন, কেউ অপরাধ করলে দেশে বা বিদেশে থাকুক তার বিরূদ্ধে মামলা হবে। পুলিশ ভালোভাবে জেনেশুনেই মামলাগুলো করেছে দাবি করে তিনি জানান, মৃত ব্যক্তির নামে মামলা না হলেই হলো।
আপনার মতামত লিখুন :