শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল
আপডেট : ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:৩৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রমো কোড পার্সেন্টেজের নামে প্রতারণায় ‘পাঠাও’

ডেস্ক রিপোর্ট : প্রমো কোডে ৩৫% ডিসকাউন্ট দিয়ে ৫৯ টাকা ভাড়া দেখালো। কোনো প্রকার যানজট ছাড়াই গন্তব্যে পৌঁছানোর পর ভাড়া দেখাচ্ছে ৮৫ টাকা। আবার অলৌকিকভাবে কিলোমিটারও বেড়ে গেছে! একজন ওল্ড ইউজারের সাথে এমন প্রতারণা করে কি ঠিক করলো পাঠাও কর্তৃপক্ষ!

‘পাঠাও’ প্রোমো কোড প্রতারণা নিয়ে এভাবেই ফেসবুকে ক্ষোভ ঝাড়েন ওয়াহেদ ভুইয়া নামে এক ভুক্তভোগী। এমনকি সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতিকার পাননি বলেও জানান তিনি।

ওয়াহেদ বলেন, ‘ওদের (পাঠাও) ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে স্ক্রিনশটসহ সকালে ম্যাসেজ করেছি। এখনো কোনো রেসপন্স পাইনি। কারচুপির ভয়ে আজ পাঠাওয়ে আর কোনো রিকোয়েস্ট দেইনি।’

প্রমো কোড পার্সেন্টেজের নামে ‘পাঠাও’ রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের এমন প্রতারণার ঘটনা দু-একটি নয়। চটকদার পার্সেন্টেজের ঘোষণা দিয়ে রাইডারদের পকেট কাটছে নিয়মিত। অনেকেই পড়ছেন বিব্রতকর অবস্থায়ও।

আজিম ইসলাম কামরুল নামে আরেক পাঠাও ব্যবহারকারী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘৯৩ টাকা থেকে প্রোমো ব্যবহার করে ৫৩ টাকা আসলো। একসেপ্ট করে রাইড শেষে দেখালো ১২৬ টাকা। আমার ও ক্যাপ্টেন দুইজনের মোবাইলেই। আমি কমপ্লেইন করেছি, কিন্তু টাকা ফেরত কিভাবে পাব?’

রাশফিয়া ইসলাম নামে একজন ফেসবুকে লিখেছেন, আমি আজ প্রোমো কোড ইউজ করে ডিসকাউন্ট পাই। ১০০ টাকা শো করায় পাঠাও রাইড নেই, কিন্তু ঠিক গন্তব্যে আসার পর দেখলাম ১৭৩ টাকা আসছে। অথচ আমাকে ১০০ টাকা দেখালো। আমি প্রোমো কোড ব্যবহার করায় ডিসকাউন্ট দেখায়; পরে আর ডিসকাউন্ট দেয়নি।

আমির হামজা নামে আরেক রাইডার লিখেছেন, গুড বাই পাঠাও। সেদিন প্রথমে ভাড়া দেখাইলো ৬৫ টাকা, নামার পর হইলো ১০৯ টাকা। নেক্সট ডে সেইম- প্রথমে ৬৫ নামার পর ১০৯ টাকা। দেন কমপ্লেইন করলাম, ৪০ টাকা ব্যাক দিলো। আজকে ওই ৪০ টাকা দিয়েই একটা রাইড রিকোয়েস্ট দিলাম ভাড়া দেখাল ৫৩ টাকা। কিন্তু নামার পর আসলো ১১১ টাকা। তাই বাবা পাঠাও, তোমাকে বাই বাই। আর না! সহজ আছে, উবার আছে, টা টা!

শরীফ ইমতিয়াজ নামের অপর এক পাঠাও ব্যবহারকারী করেছেন ভিন্ন অভিযোগ। তিনি বলেন, প্রমো কোডের মাধ্যমে পাঠাও ৫০% ছাড় দিয়েছে। বনানী থেকে গুলিস্তান যেতে ২০০ টাকা বিল হয়। সেখানে ৫০% ছাড়ে বিল আসার কথা ১০০ টাকা। অথচ ৫০% এর হিসাব দেখিয়ে পাঠাও আমাকে ছাড় দিচ্ছে মাত্র ৫০ টাকা, বিল দিতে হচ্ছে ১৫০ টাকা। তারা কি তাহলে পার্সেন্টের হিসাব বোঝে না!

আবার অনেক পাঠাও গ্রাহক মেসেজে পাওয়া প্রমো কোড অ্যাপ্লাই করতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। শরীফ আল নূর নামে এক পাঠাও ব্যবহারকারী অভিযোগ করেন, ‘আমার এই প্রমো কোডটা আজ সকালেও ছিল। কিন্তু এখন আর পাচ্ছি না। অথচ মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামীকাল! নতুন করে অ্যাপ্লাই করতে গেলে বলছে- অলরেডি অ্যাপ্লাইড।’

আফসান চৌধুরীর সমস্যাও একই। তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, প্রমো কোড অলরেডি অ্যাপ্লাইড বলছে! কিন্তু অ্যাপ্লাই করা হয়নি, প্রবলেমটা কি!

আল শাহরিয়ার লিখেছেন, পাঠাওয়ের কাহিনী বুঝলাম না। ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডিসকাউন্ট দিয়ে আবার প্রমো কোড একসেপ্ট করছে না। কাহিনী কি!

প্রমো কোড নিয়ে বিস্তর অভিযোগ প্রসঙ্গে পাঠাও লিমিটেডের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা নাবিলা মাহবুব বলেন, ইন্টারনেট কানেকশন জিপিএসের জন্য কিন্তু অনেক সময় দেখানো টাকা থেকে ভাড়া বেশি আসে। আগেও এমন প্রবলেম হয়েছে যেগুলো আমরা সলভ করেছি। এই প্রবলেমগুলো যদি কেউ আমাদের কল সেন্টারে জানায়, আমরা সাথে সাথে সেই পরিমাণ টাকার নতুন প্রমো কোড দিয়ে দেই।

প্রমো কোডের পার্সেন্টেজের হিসাব তুলে ধরে তিনি বলেন, আসলে আমরা এটাকে ক্যাপ বলি। একজন ব্যবহারকারী যদি ৬০ টাকার রাইড নেন, তাহলে তিনি ৫০% ডিসকাউন্টে ৩০ টাকায় রাইড নিতে পারবেন। কিন্তু তিনি যদি ১২০ টাকার রাইড নেন তখন তিনি সর্বোচ্চ ৪০ টাকা ডিসকাউন্ট পাবেন। সে কারণেই প্রমো কোডের মেসেজগুলোতে আমরা লিখে দেই 50% discount up to 30 tk.

যদি ৬০ টাকায় ৩০ টাকা হয়, তাহলে ১২০ টাকায় ৪০ টাকাতো হিসাবে কোনভাবেই মেলে না- এবিষয়ে তিনি বলেন, ৩০টাকার পর আমরা কোম্পানি পলিসি অনুযায়ী এভারেজ এই টাকা দিয়ে থাকি।

প্রমো কোড পাওয়ার কিছুক্ষণ পর অ্যাপ্লাই করা যায় না এমন সমস্যা নিয়ে পাঠাও’র এই কর্মকর্তা বলেন, প্রমো কোড হচ্ছে পকেটের টাকার মতো। আমরা এখন প্রমো কোডগুলো লক করে দেই, যাতে একজনের প্রমো অন্য জন ব্যবহার না করতে পারে।

তিনি বলেন, আগে ওপেন প্রমো কোড ছিল- একজনেরটা আরেকজন ব্যবহার করতে পারতো। ডুয়েল সিমের ফোনে এই সমস্যাটা বেশি হয়। আর কেউ যদি প্রমো কোড পেয়ে অ্যাপ্লাই করতে না পেরে অভিযোগ জানান, সেক্ষেত্রেও আমরা নতুন প্রমো কোড দিয়ে দেই।
সূত্র : পরিবর্তন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়