আমিন মুনশি : হিজরি ৬১ সনের ১০ মহররম এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) এবং তাঁর পরিবার ও অনুসারীরা সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।
কারবালার শোকাবহ ঘটনাবহুল এ দিনটি মুসলমানদের কাছে ধর্মীয়ভাবে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। ত্যাগ ও শোকের প্রতীকের পাশাপাশি বিশেষ পবিত্র দিবস হিসেবে দিনটি পালন করা হয় মুসলিম বিশ্বে। তবে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিলাপ করা বিদআত বলে আমাদের সময় ডটকমকে জানিয়েছেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ, গবেষক আলেম, শাইখুল হাদিস ড. মুশতাক আহমদ।
তিনি বলেন, কারো ইন্তেকাল বা শাহাদাতে শোক প্রকাশ করার পদ্ধতি ইসলাম আমাদের শিখিয়েছে। রাসূল (সা.) এর সুন্নত তরিকা উম্মতকে দেখিয়ে গিয়েছেন। সর্বোচ্চ ৩দিন শোক প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু বিলাপ করে কান্নাকাটি, মাতম করা আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামাতের মতে জায়েজ নেই। শরীর রক্তাক্ত করে চিৎকার-চেঁচামেচি করা হারাম।
তিনি আরো বলেন, নবীজির দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) আমাদের কলিজার টুকরা। তার মর্মান্তিক শাহাদাতে আমরা দুঃখিত। তাঁর সাথে যে অন্যায়-জুলুম করা হয়েছে সে জন্য আমরা ব্যথিত। এই দিনে আমরা সেই ইতিহাস আলোচনায় আনতে পারি। শিক্ষণীয় বিষয়গুলি গ্রহণ করতে পারি। আর বেশি বেশি ‘ইন্নালিল্লাহি-ওয়া-ইন্না-ইলাইহি-রাজিউন’ পড়তে পারি।
আপনার মতামত লিখুন :