হ্যাপি আক্তার: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যে বিষয়গুলো আছে তাতে আস্থা রাখা যায় না। ৫৭ ধারা যখন প্রথম আসে তখন বলা হয় যে, এই ৫৭ ধারার কারণে গণমাধ্যমে স্বাধীন মত প্রকাশের সাথে যারা সম্পৃক্ত তারা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল যমুনার ‘২৪ ঘন্টা’ টক শোতে সাপ্তাহিক সম্পাদক গোলাম মোর্তোজা এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগ হবে না, এই কথাটি তখনো বলা হয়েছিল। ৫৭ ধারা সংবাদপত্র বা সাংবাদিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে না এমন নানা কথা বলা হয়েছে। এখন যা বলা হচ্ছে প্রায় একই রকম। তবে ৫৭ ধারার প্রয়োগের কারণে গণমাধ্যমের কর্মীরা কিভাকে ক্ষতিগ্রস্ত তা হয়েছে আমরা তা দেখেছি।
তিনি বলেন, এখানে কয়েকটি ধারা গুরুত্বপূর্ণ। একজনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা প্রসঙ্গটি এসেছে। আমি একটি কথা বললাম বা লিখা লিখলাম সে প্রসঙ্গে যে কোনো একজন রাজনীতিবিদদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কি হয়নি এটি মূল্যায়ন করবে কে। উনি যদি একজন পুলিশ অফিসারের কাছে গিয়ে বলেন যে তার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে এবং পুলিশ অফিসার যদি বিশ্বাস করেন তখন কোনো ওয়ারেন্ট ও গ্রেফতারি পরোয়ানা লাগবে না। তাকে গ্রেফতার করা যাবে এবং প্রমাণাদি জব্দ করা যাবে। এই ধারায় অবিশ্বাস ক্ষমতা দেয়।
আপনার মতামত লিখুন :