শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ নির্বাচনী বন্ড কেবল ভারত নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি: অর্থমন্ত্রীর স্বামী ◈ জনগণকে সংগঠিত করে চূড়ান্তভাবে বিজয় অর্জন করতে হবে: মির্জা ফখরুল ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ জিয়াউর রহমানের সময়ই দেশে বিভেদের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়: ওবায়দুল কাদের  ◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৩ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৮:১৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাক্ষীর অভাবে থমকে আছে হোসেনি দালানে বোমা বিস্ফোরণ মামলা

হ্যাপি আক্তার: ২০১৫ সালে পবিত্র আশুরার রাতে পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতির সময় বোমা বিস্ফোরণ হয়। শোকের উৎসব পরিণত হয় বিষাদে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় মামলার ৩ বছর পেরিয়ে গেলেও আদালতে আশানুরুপভাবে সাক্ষী না আসায় থমকে আছে মামলার কার্যক্রম। রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী বলছেন, সাক্ষ্য শেষ করতে প্রয়োজন পুলিশের সহযোগিতা। আর আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, এ ঘটনায় বোমের কোনো উপাদান তো নেই, শুধুমাত্র ১৬৪ ধারার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে মামলা করেছে রাষ্ট্র।

২০১৫ সালের ২৪ অক্টোবর মধ্যরাত। রাজধানীর পুরান ঢাকার হোসেনি দালানে চলছিলো তাজিয়া মিছিলের প্রস্তুতি। হঠাৎ পরপর শক্তিশালি তিনটি বোমা বিস্ফোরণে ঙ্কেঁপে ওঠে হোসেনি দালানের পুরো আঙিনা। শোকের উৎসব পরিণত হয় বিষাদে। বোমার আঘাতে আহতের সংখ্যা দাঁড়ায় শতাধিকে, আর হাসপাতালে নেয়ার পর মারা যায় এক কিশোর।

ঘটনার পর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। ঘটনার ৬ মাস পর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এর পরের মাসে অর্থাৎ ৩১ মে ১০ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করে ঢাকার ৮ম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতকে মামলা পরিচালনার জন্য নির্দেশ দেয়। মামলাটি বর্তমানে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্র্যাইব্যুনালে বিচারাধীন রয়েছে।

মামলায় সাক্ষী করা হয় ৪৬ জনকে। ঘটনার ৬ মাস পর ২০১৬ সালের ২১ এপ্রিল ১০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, পুলিশের অবহেলায় মামলার কার্যক্রম ধীর গতিতে এগুচ্ছে।

ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত পিপি আব্দুল্লাহ আবু বলেছেন, মামলাটি প্রমাণ করার জন্য যা কিছু করার দরকার সেটা অবশ্যই আমাদের পক্ষ থেকে করবো। যেটা গুরত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হচ্ছে সাক্ষী আনার ব্যাপারে পুলিশকে জোরালো ভূমিকা নিতে হবে। কারণ সাক্ষীর তামিল করার বিষয় পুলিশের দায়িত্ব। এখানে গাফিলতি করলে চলবে না।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজে তাদের কোনো আসামির ছবি নেই। শুধুমাত্র ১৬৪ ধারার জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে মামলা চালাচ্ছে রাষ্ট্র।

আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ বলেছেন, ‘এই মামলার ব্যাসিক সাক্ষী হলো সিসিটিভির ফুটেজে। এই সিসিটিভির ফুটেজে আমরা ১০ জন্য আসামির কেউ সনাক্ত হয়নি, তাদের ছবি নেই। যখন ট্রায়াল হবে তখন প্রমাণ করতে পারবো এই মাসামির কেউ ঘটনাটি ঘটায়নি।

মামলার পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য আগামী ১১ অক্টোবর দিন নির্ধারণ রয়েছে। সূত্র : সময় টেলিভিশন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়