শিরোনাম
◈ ব্যাংককে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ◈ অবশেষে মার্কিন সিনেটে সাড়ে ৯ হাজার কোটি ডলারের সহায়তা প্যাকেজ পাস ◈ কক্সবাজারে ঈদ স্পেশাল ট্রেন লাইনচ্যুত, রেল চলাচল বন্ধ ◈ ইউক্রেনকে এবার ব্রিটেননের ৬১৭ মিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা ◈ থাইল্যান্ডের উদ্দেশ্য রওনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ◈ লোডশেডিং ১০০০ মেগাওয়াট ছাড়িয়েছে, চাপ পড়ছে গ্রামে ◈ এফডিসিতে মারামারির ঘটনায় ডিপজল-মিশার দুঃখ প্রকাশ ◈ প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আয়ে ১৫.২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন ◈ প্রথম ধাপে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সাত চেয়ারম্যানসহ ২৬ জন নির্বাচিত ◈ বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে কাতারের বিনিয়োগ আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:২০ সকাল
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮, ০৭:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সভ্য দেশে অসভ্য আচরণ

সাব্বির আহমেদ : 'সরকারের চাপ এবং হুমকির মুখে দেশত্যাগ করতে হয়েছে' এমন দাবি করে খুব সম্প্রতি বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা একটি আত্মজীবনীমূলক বই প্রকাশ করেছেন। বিচারপতি সিনহার বই 'এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল, হিউম্যান রাইটস এন্ড ডেমোক্রেসি" প্রকাশিত হয়েছে। এ বইয়ের প্রসঙ্গ টেনে রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। বলেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সঙ্গে সরকারের আচরণ অনভিপ্রেত। বাজে আচরণ। যা অত্যন্ত দুঃখজনক। সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে অসভ্য আচরণ। এই বইয়ে সাবেক বিচারপতি চরম ক্ষোভ ও উষ্মা প্রকাশ করেছেন।

সুরেন্দ্র কুমারের ওই বই নিয়ে দেশের সংবিধান প্রণেতা ও প্রবীণ আইনজীবী ড. কামাল হোসেন বলেন, আমি বইটির কেনার চেষ্টা করছি। এখনও হাতে এসে পৌঁছেনি। তবে গণমাধ্যমে যা দেখেছি তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।

ড.কামাল বলেন, দেশের প্রধান বিচারপতির মতো একজন ব্যক্তির সঙ্গে এমন আচরণ অসভ্যের কাজ। তাদের বিচার হওয়া দরকার। সাংবিধানিকভাবে এতো বড় কর্তাব্যক্তির সঙ্গে এমনটা কেউ করার অধিকার রাখে না। লজ্জা হয়, স্বাধীন দেশে কিভাবে তাকে গালাগাল করেছে।তাদের বিচার একদিন না একদিন করবই। সিনহা সাহেবের সঙ্গে যা হয়েছে সবই অসাংবিধানিক।

যুক্তফ্রন্টের নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এস কে সিনহার সঙ্গে যা ঘটেছে- এর চেয়ে দু:খজনক আর কি হতে পারে! বিচারিক কার্যের সর্বোচ্চ কর্মকর্তার সঙ্গে যা ঘটেছে তা কল্পনাতীত।

ক্ষমতাসীন দলের সাবেক এই নেতা বলেন, আমরা বিষয়টি বহুবার বলেছি। সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে কোনো কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। বিষয়টি পরিষ্কার করার অধিকার ছিল সাবেক প্রধান বিচারপতির। সরকার সে সুযোগটাও দেয়নি।

সুরেন্দ্র কুমার সিনহা তার বইয়ে সত্য ঘটনাই তুলে ধরেছেন মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সিনহা সাহেবের সঙ্গে যা ঘটেছে তার কিছুটা তো আমরা আগে থেকেই জানতাম। আর এই বইয়ের মাধ্যমে সকল বিষয়ে খোলাসা হলো। তবে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার উচিত ছিল, আরও আগেই বিষয়টি বলা।

যখন উনার সহকর্মীরা বলেছেন, তারা বিচারকার্যে বসবেন না- তখন তার বলা জনসমক্ষে বলা উচিত ছিল ''তোমরা বিবেককে বিক্রি করেছ''। যাহোক ভাল, বইটি সময়মতো বইটি বেরিয়েছে। খুবই ভাল উনি বইটি লিখেছেন।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড.ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমি বইটি এখনও পাইনি। বইটি পেলে টিআইবির পক্ষ থেকে বিবৃতি দেব। তবে পুরো ঘটনাটি দুঃখজনক। গণমাধ্যমে যা দেখেছি তা খুবই অস্বস্তিকর।

সাবেক প্রধান বিচারপতির ওই বইটি এখন আমাজনে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। এই বইতে বিচারপতি সিনহা সবিস্তারে বর্ণনা করেছেন কোন পরিপ্রেক্ষিতে সরকারের সঙ্গে তার বিরোধ তৈরি হয়েছিল, এবং কিভাবে তাকে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়, এবং তারপর কেন তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে পদত্যাগে বাধ্য হন।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের সামরিক গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআইয়ের হুমকি ও ভীতি প্রদর্শনের মুখে তিনি দেশে ছেড়েছেন। বিচারপতি সিনহা লিখেছেন, বাংলাদেশের সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়টি যেন সরকারের পক্ষ যায়, সেজন্যে তার ওপর 'সরকারের সর্বোচ্চ মহল থেকে চাপ তৈরি করা হয়েছিল।'

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়